প্রতিবছর শিক্ষক দিবসে রাজ্য সরকারের শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে বিশিষ্ট শিক্ষক দের শিক্ষারত্ন পুরস্কার প্রদান করা হয়। সেইমতো রাজ্যের সঙ্গে বীরভূম জেলার দুই শিক্ষক শিক্ষা রত্ন পুরস্কার পাচ্ছেন আজ। শিক্ষা ক্ষেত্রে অবদানের জন্য দেওয়া হয় শিক্ষারত্ন পুরস্কার। তাছাড়াও শিক্ষা ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ডিগ্ৰী, গবেষণা, বিদ্যালয়ে শিক্ষার অবদান বিভিন্ন বিষয়ে বিবেচনা করেই দেওয়া হয় এই শিক্ষারত্ন পুরস্কার। যে সমস্ত বিষয় গুলির ওপরে নজর দেওয়া হয়, সেগুলি দক্ষতার সঙ্গে পালন করেছেন বীরভূম জেলার দুবরাজপুর RBSD High School এর শিক্ষক ড. নীল মাধব নাগ। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে শিক্ষকতা করেন। পাশাপাশি তিনি গবেষণাও করেছেন। বিভিন্ন বিষয়ে লেখা লিখি করেন তিনি। বিদ্যালয় শিক্ষা করোনা কালে স্কুল ছুট পড়ুয়াদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্কুল মুখী করে তুলেছেন এই শিক্ষক। সংবাদ মাধ্যমে, সাহিত্য নিয়ে এবং সমাজ সংস্কারক মূলক লেখালেখি করেন শিক্ষক নীলমাধব নাগ। বিদ্যালয় শিক্ষাতে সে কতটা আবেদন রাখতে পারছে নিজে এবং ছাত্রদের কে কিভাবে সামাজিক কাজে উদভুক্ত করতে পারছে তার ওপর নির্ভর করে। নিয়ম মেনে আবেদন করেছিলেন তিনি।
অন্যদিকে মুরারই 2 ব্লকের অন্তর্গত দাতুরা প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক আনসারুল হক তিনি ও আজ শিক্ষারত্ন পুরস্কারে ভূষিত হচ্ছেন। স্কুলে এসে ছাত্রদের সঙ্গে বন্ধুর মতো মিশে তাদের পাঠদানের জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে তিনি খুব জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। সরকারি ঘোষণার আগে ছাত্রদের স্কুলমুখী করতে তিনি জেলার মধ্যে প্রথম ‘দুয়ারে শিশু’ ভর্তির উদ্দেশ্যে এলাকায় বেরিয়ে পড়েন। সরকারি ঘোষণার আগে ছাত্রদের স্কুল মুখি করতে প্রথম দুয়ারে শিশু ভর্তির সে বেরিয়ে পড়েন। এমন কর্মসূচিতে তিনি স্কুলের সকলের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। ২০১৬ সালের নির্মল বিদ্যালয় পুরস্কার পান।
গত ৩০ আগস্ট ইমেইলের মাধ্যমে জেলার দুই শিক্ষক জানতে পারেন তারা শিক্ষারত্ন পুরস্কার পাচ্ছেন। খুশির জোয়ার বিদ্যালয় থেকে শুরু করে সর্বত্রই।