রাস্তা সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভগ্রামবাসীদের
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ২০১৭ সালের শিলান্যাস করা রাস্তা এখনো সেই জলাশয়ের মতোই রয়ে গিয়েছে, তাই কংক্রিট করার দাবিতে বল্লুক ১ পঞ্চায়েত অফিসে বিক্ষোভ দেখিয়ে ঘেরাও করলে এলাকাবাসী, প্রধান পঞ্চায়েত অফিস ছেড়ে পালিয়ে যান এমনটাই অভিযোগ আসছে গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে।
এলাকাবাসীদের অভিযোগ বল্লুক ১ অঞ্চলের অন্তর্গত সোয়াদীঘি খালের দক্ষিণ দিকের রাস্তা সহ উদয়চক, প্রসাদচক, সাবলআড়া গ্রামের ওপর দিয়ে যে রাস্তা ও ভগ্ন দশা কয়েকটি কাঠেরপুল রয়েছে তার উপর দিয়ে প্রতিনিয়ত কয়েক হাজার মানুষের যাতায়াত এবং আশেপাশে বেশ কয়েকটি স্কুলও রয়েছে যার ফলে ওই সমস্ত স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদেরকে এই রাস্তার উপর দিয়ে প্রতিনিয়ত করুণ অবস্থাতে যাতায়াত করতে হয়। এলাকাবাসীদের অভিযোগ ২০১৭ সালের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় এই রাস্তা শিলার নাশ করার পরেও এখনো কেন নির্মাণ করা হলো না কংক্রিট রাস্তা ও কংক্রিট পুল । তাই তাঁরা কাঁচা রাস্তা কংক্রিট করার দাবি ও কাঠের ভগ্ন পুলগুলি কংক্রিট করার দাবিতে আজ অঞ্চল অফিস ঘেরাও করে হাজার খানেক স্থানীয় গ্রামবাসী। কয়েক বছর ধরে রাস্তাটি কংক্রিট করার দাবিতে এর আগেও বার বার ডেপুটেশন দিয়েছেন, তমলুক মেছেদা রাজ্য সড়কও অবরোধ করেছিলেন এলাকাবাসী। এর পাশাপাশি তাঁরা আরও জানান প্রধান, বিডিও, পুলিশ প্রশাসন বার বার কথা দেওয়া সত্ত্বেও আজও পর্যন্ত কোনো ভূমিকা পালন করেন নি।
আগে থেকে জানানো সত্ত্বেও আজ প্রধান না থাকায় জনতা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে এলাকাবাসী। বিরাট পুলিশ বাহিনী জনগণের বিক্ষোভ সামাল দিতে হিমসিম খায়।
তবে প্রধান শরৎ মেট্যা তিনি জানান আজ এসডিওর সাথে আজ গুরুত্বপূর্ণ এক মিটিং ছিল আমার তাই আমি পঞ্চায়েত অফিস ছেড়ে বেরিয়ে যাই। ওনারা ডেপুটেশন দিতে আসবেন তা আমার কাছে জানা ছিল না। ওনারা আমাকে আগে থেকে না জানিয়ে এভাবে ডেপুটেশন দিতে এসেছিলেন। তবে এই রাস্তা ইরিগেশন এর মাধ্যমে মন্ত্রী সৌমেন কুমার মহাপাত্র নজর দিয়েছেন,তবে আগামী দিনে দ্রুততার সাথে এই রাস্তা নির্মাণ করা হবে।