রেনু খাতুনের আইনি লড়াই শুরু,স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের দাবি রেনুর।

রেনু খাতুনের আইনি লড়াই শুরু,স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের দাবি রেনুর।

রেনু খাতুনের আইনি লড়াই শুরু হল।কেতুগ্রাম থানার পুলিশের সাথে এসে গোপন জবানবন্দি দিয়ে গেলেন রেনু খাতুন। অভিযুক্তদের যাবৎ জীবন কারাবাসে দাবি জানালেন।গত ৪ঠা জুন কেতুগ্রামের কোজলসা গ্রামে নার্সের কাজের আপত্তি থাকায় স্বামী কব্জি কেটে নেয় রেনু খাতুনের।৫ই জুন রেনুর পরিবার অভিযোগ দায়ের করে কেতুগ্রাম থানায়।প্রথমে শশুর,শাশুড়ি‌ পরে রেনুর স্বামী সরিফুল সেখ এরপর এক এক করে আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করে কেতুগ্রাম থানার পুলিশ।ইতিমধ্যেই সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমে খবর পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সরকারি নার্সের চাকরি পাওয়ায় তাকে চাকরিতে যোগদান করার আশ্বাস দেন এই কারণেই যেহেতু তার ডান হাতের কব্জি বাদ হয়ে গেছিল।রেনু থেমে থাকার মেয়ে নয় হাসপাতালেই বসেই বা হাতে লেখা অভ্যাস করে ফেলেছে।সেই কথামতো রেনু সুস্থ্য হয়ে গতকাল পূর্ব বর্ধমানের জেলামুখ্য স্বাস্থ্য দপ্তরে গ্রেড ২ নার্সের পদে যোগদান করেন।আপাতত মুখ্য স্বাস্থ্য দপ্তরে তার কর্মজীবন শুরু।ইতিমধ্যেই চার অভিযুক্ত স্বামী সরিফুল সেখ, মাসতুতো ভাই চাঁদ মহম্মদ, ও আরো দুজন সহযোগী, আশরাফ আলী ও হাবিব শেখের গত পরশু ১৪ দিনের জেল হেফাজত হয়।এদিন কাটোয়া মহকুমা আদালতে কেতুগ্রাম পুলিশের সাথে রেনু এসে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে দিয়ে গেলেন গোপন জবানবন্দি।তিনি এও জানালেন আজ থেকে শুরু হল আইনি লড়াই। অভিযুক্তদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করুক আদালত এমনটাই জানালেন রেনু খাতুন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

4 × two =