লটারি টিকিট কাটতে বারণ করায় ভাতারের পানোয়া গ্রামে স্ত্রীকে শাবল দিয়ে খুন করে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ স্বামীর।

পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতারের পানোয়া গ্রামে স্ত্রীকে খুন করে পুলিশের কাছে এসে আত্মসমর্পণ করল স্বামী। ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য। বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে পানোয়া গ্রামে।পুলিশ সূত্রে জানা যায় পানোয়া গ্রামে বাসিন্দা মমতাজ খাতুনের সঙ্গে বিয়ে হয় ১৩ বছর আগে রহমত শেখের। রহমত সেখের বাড়ি কাটোয়া থানা এলাকায়।সে বিয়ের পর ভাতারের পানোয়া গ্রামে বসবাস করত। তার বাড়িতে রয়েছে স্ত্রী ও দুই কন্যা সন্তান।বছর পাঁচেক তাদের সংসার ভালোভাবেই চলতো।কিন্তু রহমত শেখের লটারি কাটার নেশা । লটারিতে টাকা পাবার আশায়, সে বিভিন্ন জায়গায় ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ে এবং বেশ কয়েকটি কোম্পানির কাছে তিনি ঋণ নেন।এরপরই শুরু হয় সংসারে অশান্তি।আজ সকালে অশান্তি এমন পর্যায়ে পড়ে যে মমতাজ খাতুনকে খুন হতে হলো।মমতাজ খাতুনের বাবার বাড়ির লোকজনের অভিযোগ, জামাই বিভিন্ন জায়গায় ঋণ নেওয়ায় মেয়ের সঙ্গে অশান্তি শুরু হয়।আজ ভোরে রহমত শেখ তার স্ত্রী মমতাজ খাতুনকে শাবল দিয়ে মেরে, সাইকেল নিয়ে ভাতারের আলীনগর বাসস্ট্যান্ডে এসে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে। সে পুলিশকে জানায় যে তার স্ত্রীকে সে ,শাবল দিয়ে মেরে ফেলেছে ।পুলিশ প্রথমে তার কথা শুনে অবাক হয়ে যান। তাকে সঙ্গে করে পুলিশ যখন তার বাড়ি যায় তখন দেখতে পাই যে তার স্ত্রী বিছানার মধ্যে পড়ে রয়েছে রক্তাক্ত অবস্থায়। পুলিশ তড়িঘড়ি তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় ভাতার ব্লক হসপিটালে। চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে আজ ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে ।সমগ্র ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভাতারের পানোয়া গ্রামের ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।পুলিশ জানিয়েছে তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ রহমত শেখকে গ্রেপ্তার করে আজ বিচার বিভাগের জন্য পাঠিয়েছে বর্ধমান আদালতে ।সমগ্র ঘটনা কে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য রয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

six − 3 =