RG Kar Doctor Death Case : ‘কাকুর ফোন এল ১১ টা নাগাদ….একটা বিভীষিকাময় সময় ….’ প্রথমবার এবিপি আনন্দে ক্যামেরার মুখোমুখি নির্যাতিতার বিশেষ বন্ধু

দিনে ১৫ – ২০ বার কথা হত ফোনে। তবে দুজনেই ব্যস্ত মানুষ। হাসপাতালের ডিউটি, পড়াশোনা এসবেই কাটত দিনের সিংহভাগ। দুজনের কর্মক্ষেত্রও দূরে দূরে। তাই মনের খুব কাছাকাছি থাকলেও নির্যাতিতা ও তাঁর বিশেষ বন্ধুর দেখা হত কম । তাই ফোনেই সংযোগে থাকতেন । সেই দিনটা ছিল ৮ অগাস্ট। ‘সেদিন যখন ফোন করে বলেছিল একটু ব্যস্ত আছি। একটু পরে ফোন করছি। ‘ ভাবেননি ওটাই হবে শেষ কথা !

সেই ভয়াবহ দিনের কথা ভাবতে গলা কেঁপে যায় তাঁর। জানতে পারেন, ‘আত্মহত্যা করেছেন’ বিশেষ বন্ধু। কারণ তেমনটাই তখনও অবধি জানতে পেরেছিল নির্যাতিতার পরিবার। ‘ফোনটা আসতেই শরীর কাঁপতে শুরু করে। শরীর অসুস্থ লাগতে শুরু করে। আমিও তখন আমার হাসপাতালে কর্মরত ছিলাম। তৎক্ষণাৎ সেখান থেকে বেরিয়ে পড়ার ব্যবস্থা করা হয়। ‘

দুঃসংবাদ পাওয়ার পরও নির্যাতিতাকে দুই বার ফোন করেছিলেন তিনি। ফোন বেজে যায়। তারপর ফোন করেন ওই হাসপাতালেরই আরেক পরিচিতকে। তিনিও শুধু বলেন, তাঁরা যেন তাড়াতাড়ি চলে আসেন।…..’একটা বিভীষিকাময় সময় ….’

তিনি পৌঁছনোর আগে সেখানে পৌঁছেছিলেন নির্যাতিতার বাবা-মা। বিশেষ বন্ধু পৌঁছন অন্য বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে। সেখানে পৌঁছে সেমিনার রুমের সামনে করিডোরে গিয়ে দেখেন প্রচণ্ড ভিড় ! ‘আমি আসলে এর আগে আরজি করে কোনওদিন যাইনি’ বলছিলেন নির্যাতিতার বিশেষ বন্ধুটি। তারপর ঠেলেঠুলে ভিতরে যান তাঁরা। সেমিনার রুমের উল্টোদিকের ঘরে বসানো হয়।

নির্যাতিতার দেহের পাশ থেকে পাওয়া গিয়েছিল একটি ডায়েরি। যার ২-৩ টি পাতা ছিল ছেঁড়া। কী ছিল তাতে ? বন্ধু জানালেন, ‘ও ডায়েরি লিখত না। রুটিন বানাত। কখন রোগী দেখবে, কখন পড়বে, কখন পড়াশোনার ভিডিও দেখবে। রুটিন বানাত প্রতিদিন। প্রচণ্ড অর্গানাইজ় ছিল । ‘

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

twelve + 7 =