শান্তিপুরে পুত্র সন্তান কে সাথে নিয়ে বাবার বাড়িতে বেড়াতে এসে নিখোঁজ গৃহবধূ।
প্রশাসনের দরজায় দরজায় ঘুরে বেড়াচ্ছে নিখোঁজ গৃহবধূর মা। শান্তিপুর হাটখোলা পাড়ার বাসিন্দা শিখা প্রামানিক তার একমাত্র মেয়ের বিয়ে হয় নদীয়ার রানাঘাটে। চলতি মাসের প্রথমদিকে ওই গৃহবধূ সুচিস্মিতা সাহা তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসে পুত্র সন্তান কে সাথে নিয়ে। গত ১৬ তারিখ সুচিস্মিতা সাহার রানাঘাটে শ্বশুরবাড়িতে চলে যাওয়ার কথা, সেই মত মা শিখা প্রামানিক রান্না করছিলেন মেয়ে শশুর বাড়ি চলে যাবে বলে। হঠাৎই মেয়ে সুচিস্মিতা সাহা শ্বশুরবাড়ি চলে যাওয়ার আগে দুই একটি জায়গায় যাবে বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় পুত্র সন্তান কে সাথে নিয়ে। সন্ধ্যে নাবলে গৃহবধূ সুচিস্মিতা বাড়িতে না আসলে মায়ের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে যায়, রাত কাটিয়ে কোনরকম দিনের আলো ফুটতেই মেয়ে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার একটি লিখিত জানাই শান্তিপুর থানায়। যদিও পুলিশ ২৪ ঘন্টা না গেলে কোন রকম নিখোঁজের ডায়েরি নেয় না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেয় অর্থাৎ ১৮তারিখে সুচিস্মিতা সাহার মা আবারো শান্তিপুর থানায় গিয়ে একটি অভিযোগ করে। গত ১৬ তারিখে মেয়ে চলে যাওয়ার ঘটনায় আজও পর্যন্ত ওই গৃহবধূ সুচিস্মিতা সাহার কোন খোঁজ পাওয়া সম্ভব হয়নি, দীর্ঘ ১৩ দিন কেটে গেলেও এখনো গৃহবধূ সুচিস্মিতা সাহার সন্ধান না পাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে মা শিখা প্রামানিক। অবশেষে মেয়েকে খুঁজে পাওয়ার আশায় আজ আবারো শান্তিপুর থানার দ্বারস্থ হয় মা শিখা প্রামানিক, পুলিশের কাছে আরজি করে যেন তার মেয়েকে খোঁজার জন্য তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তার একমাত্র মেয়ে এবং নাতিকে ছাড়া চোখের পাতা এক করতে পারছেনা গৃহবধূর মা শিখা প্রামানিক।