সাতসকালেই চিড়িয়াখানায় হাজির মীর আফসার আলি, স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। হাজির ছিলেন সোহিনী সেনগুপ্ত এবং সপ্তর্ষি মৌলিকও। আয়োজন করা হয়েছিল জন্মদিন অনুষ্ঠানের সেই কারণেই উপস্থিতি হয়েছেন আলিপুর চিড়িয়াখানায় টলিপাড়ার তারকারা ।
১৯৯৮ সালে চেন্নাইয়ের আরিগনার অন্না জুলজিক্যাল পার্ক থেকে কলকাতার আলিপুরে নিয়ে আসা হয়েছিল তাকে। তারপর থেকেই এই শহরই বাবুর ঠিকানা। চিড়িয়াখানায় গেলেই তার দেখা পাওয়া যায়। বুধবার বাবুকে দেখার ভিড় একটু বেশিই ছিল। কারণ বাবুর জন্মদিন। বাবুকে দত্তক নিয়েছিলেন সোহিনী ও সম্পর্ষি।জন্মদিনের এই সেলিব্রেশনে বেজায় খুশি দু’জন। নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে পেরে খুশি মীর ও স্বস্তিকাও।এখনও পর্যন্ত অন্তত পাঁচ কোটি অনুরাগী বাবুকে দেখতে চিড়িখানায় এসেছেন। তাঁদের প্রত্যেককে নিমন্ত্রণ জানানো হয়।বাবুর খাঁচার সামনে আজ চোখে পড়ার মতো ভালই ভিড় ছিল।আনা হয়েছিল দু-দু’টি সুন্দর কেক। তা কেটেই হয় সেলিব্রেশন।
জন্মদিনের পাশাপাশি এদিন ভাইফোঁটাও পালিত হয় চিড়িয়াখানায়। দূর থেকেই বাবুকে ফোঁটা দেওয়া হয়। এমন একটি উদ্যোগের জন্য আলিপুর চিড়িয়াখানার ডিরেক্টর আশিস সামন্তকে ধন্যবাদ জানান তাঁরা। বাবুকে শুভেচ্ছা জানান স্বস্তিকা।তিনি নিজেও চিড়িয়াখানার পশু দত্তক নিতে আগ্রহী বলেই জানান। ৩৪ বছরের ‘সৎপাত্র’ বাবু, তার জন্য এবার মেয়ে খুঁজতে হবে।মজার ছলে বলেন মীর। জন্মদিনে এত অতিথিদের দেখে বাবু কতটা আপ্লুত বাবু নানা জিনিস দর্শকদের দিতে ছুঁড়েছে। তার প্রেক্ষিতেই মীর বলেন, আমরাও বাবুর দিকে ভালবাসা ছুড়ব,প্লাস্টিকের বোতল কিংবা কোল্ড ড্রিঙ্কের।