শিশুকন্যাকে গরম ফ্যান ছুড়ে মারলেন মামাতো বৌদি, আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন হাসপাতালে

মামারবাড়িতে থাকায় বড় মাশুল গুনতে হলো শিশু কন্যাকে । বসিরহাট মহকুমা হাড়োয়া থানার শালিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কাঁকুড়িয়া গ্রামের ঘটনা। মিনাখা থানার অন্তর্গত মালিয়ারি গ্রামের বাসিন্দা ১১, বছরের পাপিয়া খাতুন। শিশুকন্যা বাবার বাড়িতে জায়গা জমি সমস্যা থাকার কারণে বাবা-মায়ের সঙ্গে মামার বাড়িতেই থাকতেন। প্রায় এক বছর ধরে তারপর থেকেই বড় মামা মামি এবং মামার ছেলে এবং তার স্ত্রী দিনের পর দিন ওই শিশু কন্যার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে চলেছেন গালিগালাজ এমনকি মাঝেমধ্যে মারধর করে থাকেন।শনিবার সন্ধ্যেবেলায় ওই শিশুকন্যা খাওয়ার জল আনতে গিয়েছিলেন। ঠিক তখনই বড় মামার বড় বৌমা অর্থাৎ শিশুকন্যার মামাতো বৌদি, গরম ভাত রান্না করার পর গরম ভাতের ফ্যান শিশু কন্যার গায়ে এবং মুখে ছুড়ে মারেন। ঘটনায় শিশুকন্যা কাতর জ্বালা যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকেন। স্থানীয় বাসিন্দারা শিশুকন্যাটিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার অবস্থার অবনতি হয় এবং তারপর পাপিয়া কে কলকাতার আরজিকর মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন শিশুকন্যার শরীর প্রায় ৬০% শতাংশ পুড়ে গেছে। শিশুকন্যার অবস্থা যথেষ্ট সংকটজনক ঘটনায় শিশুকন্যার বাবা মিজানুর বিশ্বাস রবিবার রাতে হাড়োয়া থানায় মামনি বিবি, আজারুল মোল্লা ,গুলাল বিবি, আজান মোল্লা এই চারজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্ত মামনি বিবি কে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। পাশাপাশি ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে শুধুই কি পরিবারিক ঝামেলা, নাকি অন্য কোনো কারণ রয়েছে সেটাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। যদিও অভিযুক্তদের দাবি অসাবধানবশত ভাতের ফ্যান ফেলতে গিয়ে শিশু কন্যার গায়ে গিয়ে লাগে। এখন শিশুকন্যাটি কলকাতার আর জি কর মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

two × 2 =