শুক্রবার সকালেই পুরুলিয়া শহরের বড়োহাটে হানা পুলিশের,চক্ষু চড়কগাছ পুলিশের।
সাত সকালেই পুরুলিয়ার বড়োহাটে হানা দিলো ডিস্ট্রিক্ট এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ ও এগ্রিকালচার মার্কেটিং ডিপার্টমেন্ট। সকাল ৯ টায় এই যৌথ বাহিনী বড়ো হাটে সবজি বাজারে হানা দেয়। বাজারে ঢুকে সবজির দাম শুনতে চক্ষু চড়কগাছ পুলিশের।আলু,পিয়াজ,টোমাটো সহ বেশ কিছু সব্জির দাম অস্বাভাবিক।বর্তমানে পুরুলিয়ার বাজারে আলুর দাম ১৭-১৮ টাকা প্রতি কেজি ও পিয়াজের দাম ৪৪- ৫০টাকা প্রতি কেজি ও টোমাটো প্রতি কেজি ৫৫-৬০ টাকা।কয়েকদিন আগে আলুর দাম ছিল ১৩-১৪ টাকা, টম্যাটো প্রতি কেজির দাম ছিলো ৪০-৪৫ টাকা, পিয়াজের দাম ছিল ৩০ টাকা প্রতি কেজি।যা এক ধাক্কায় ১৪-২০ টাকা বেড়ে যায়।এই মুল্যবৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। বিশেষ করে যারা দিন আনে দিন খায় তারা পিয়াজ খাওয়া ভুলতে বসেছে। ক্রেতাদের অভিযোগ, এক শ্রেণীর ব্যবসায়ী বেশী মুনাফার জন্যে বাজারে কৃত্রিমভাবে চাহিদা তৈরি করে দাম বাড়িয়ে বেশি মুনাফা করছে। বিক্রেতাদের অভিযোগ, শহরে যান নিয়ন্ত্রণের জন্য শহরের বাইরে লরি দাড় করিয়ে দেওয়া হয়। ফলে বাজারে মাল আনতে অতিরিক্ত বেশি পয়সা দিতে হচ্ছে।পাশাপাশি অস্বাভাবিক ভাবে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি হয় অতিরিক্ত মাশুল দিতে হচ্ছে।হানা দিতে আসা আধিকারিকদের চোখে ধরা পরে অস্বাভাবিক আলু ও পিয়াজের দাম।ইতিমধ্যেই কয়েকজন ব্যাবসায়ীকে কড়া বার্তাও দেওয়া হয়েছে। এগ্রিকালচার মার্কেটিং দপ্তরের আধিকারিকের বক্তব্য, বেশকিছু সমস্যা থাকায় এইখানে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। পেঁয়াজের ক্ষেত্রে নাসিক থেকে যে পেঁয়াজ আসে ,সেই পেঁয়াজ না আসায় স্থানীয়স্তরে যে পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে তাতে নষ্টের পরিমাণ অনেক বেশি। তাই খানিকটা দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে সবটাই তাদের নজরে থাকছে। আগামীদিনের এই অভিযান চলবে বলে জানিয়েছেন তারা।