সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জের, নিজের বৌদিকে কুপিয়ে খুন করে বস্তা বন্দি করে ফেলে দেওয়া হলো পাতকুয়োয়।

সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জের, নিজের বৌদিকে কুপিয়ে খুন করে বস্তা বন্দি করে ফেলে দেওয়া হলো পাতকুয়োয়।

ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অশোক নগর থানার ভুরকুন্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের সেনডাঙার আনন্দ পাড়া এলাকায়। মৃতার নাম ইলা বিশ্বাস(৩৮)। জানা যাচ্ছে কুঁপিয়ে খুন করার পরে দেহ বস্তাবন্দী করে ফেলে দেয়া হয় বাড়ির পাতকুয়ায়। ঘটনাটি প্রকাশ হওয়ার পরই শনিবার সন্ধ্যায় এই দেহ উদ্ধারকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় গ্রামে। ইতিমধ‍্যেই পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। মৃতার স্বামী ইন্দ্রজিৎ বিশ্বাসের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে মৃতের ননদ রিনা মন্ডল ও তার স্বামী রাজ মন্ডল এবং এক আত্মীয় শিপ্রা বিশ্বাসকে।
বছর তিনেক আগে এই রিনা মন্ডল নিজের মুরগি পোল্ট্রিতে ইলেকট্রিক লাইন দিয়ে রাখায় শক খেয়ে মৃত্য হয়েছিল দুই শিশুর। সেই ঘটনায় বেশ কিছুদিন জেলও খাটে রীনা মন্ডল। লকডাউনের আগেই রাজ মন্ডল নামে এক যুবককে বিয়ে করে ফের সেনডাঙ্গা বাপের বাড়ি বসবাস শুরু করে। পাশাপাশি জমি জমা সংক্রান্ত ব্যাপারে দাদা ইন্দ্রজিৎ আর বৌদি ইলার সঙ্গে বিবাদ চলছিল। মৃতার স্বামী ইন্দ্রজিৎ বিশ্বাস আজ দুপুরে বাড়ির কাজে বাজারে যান। বাজার থেকে ফিরে স্ত্রীকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। সেই সময় বোন রিনা মন্ডলকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন একটি ফোন আসার পর বাড়ি থেকে বেরিয়েছেন, সন্ধ্যে হয়ে যাওয়ায় ফের খোঁজাখুঁজি শুরু করে বাড়ির সদস‍্যরা ।শেষে বাড়ির পেছনে পাতকুঁয়ার পাশে রক্তের দাগ এবং পাতকুঁয়ার মধ্যে একটি বস্তাবন্দি কিছু জিনিস দেখতে পান। এরপর অশোকনগর থানার খবর দিলে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে। প্রতিবেশীরা জানান দাদা বাড়ি না থাকার সুযোগে বৌদিকে দুজন মিলে কুঁপিয়ে খুন করে। তারপর ঘরের রক্ত ধুয়ে মুছে দেহ সিমেন্টের বস্তায় ভরে বাড়ির কুয়োয় ফেলে দেয়। ঘটনার তদন্তে নেমেছে অশোকনগর থানা ও বারাসত জেলা পুলিশ। রবিবার ধৃত তিন জনকে বারাসত আদালতে পাঠানো হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

2 × three =