সীমান্ত থেকে সুন্দরবন,এবার আর্সেনিক মুক্ত জল।
সুন্দরবনের প্রাকৃতিক বিপর্যয় রুখতে ম্যানগ্রোভের প্রাচীর। এরপর জল সংকট মেটাতে এবার সীমান্ত থেকে সুন্দরবনের ১০ টি ব্লকের ৩০ ফুট উঁচু কয়েকশো উচ্চতর পানীয় জলের পাম্প বসিয়ে জল দেওয়ার কাজ শুরু হলো।বিনামূল্যে পরিষেবা পাবে কয়েক লক্ষ মানুষ। প্রতিটি ব্লক পঞ্চায়েত ও গ্রাম সভাস্তরে এই প্রকল্পের কাজ কোনো কোনো জায়গায় শেষ হয়েছে।আবার কোনো জায়গায় আর্সেনিক মুক্ত পানীয় জল পেতে শুরু করেছে গ্রামবাসীরা। পাশাপাশি নদীর নোনাজলকে সুমিষ্ট করে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া সরকারের লক্ষ্য।
বেশ কয়েক বছর ধরে দেখা গেছে আইলা, আম্ফান, যশের মতো বারবার প্রাকৃতিক বিপর্যয় মধ্যে পড়তে হয়েছে সুন্দরবনের প্রান্তিক মানুষদের। মানুষের সবচেয়ে সমস্যায় পড়তে হতো পানীয় জলের। অপরিশোধিত জল খেয়ে বিভিন্ন সময় পেটের রোগ,চর্মরোগে আক্রান্ত হত শিশু থেকে বয়স্করা।আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতো। এই ছবি বারবার দেখা গেছে। এবার সেই প্রাকৃতিক বিপর্যয় হলে তার আগাম প্রস্তুতি নিল ব্লগগুলো।প্রতিটি ব্লক ও পঞ্চায়েত স্তর গ্রাম সভায় ত্রিশ ফুট উচ্চতা সম্পন্ন পরিশুদ্ধ পানীয় জলের প্রকল্পের কাজ শুরু হয়ে গেছে। ইতিমধ্যে সেই প্রকল্পের শুভ সূচনা হয়েছে।
একদিকে যেমন বিনা পয়সায় দিবারাত্র এই পানীয় জল গ্রামের মানুষ পাবেন।পাশাপাশি টাইম কলের মধ্য দিয়ে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেবে জল।স্বভাবত খুশি সীমান্ত থেকে সুন্দরবনের মানুষের বসিরহাট ২ নম্বর ব্লকের খোলাপাতা গ্রাম পঞ্চায়েত রঘুনাথপুর দাসপাড়া।সেই পানীয় জলের পাম্পের শুভ উদ্বোধন হলো। প্রধান অপরেশ মুখার্জী, বসিরহাটের সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি সরোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রকাশ মন্ডল সহ একাধিক ব্যক্তিত্বরা উপস্থিত ছিলেন।
তারা জানান, “একদিকে প্রাকৃতিক বিপর্যয়, অন্যদিকে গরম পড়লেই বিভিন্ন ব্লকে জল সংকট দেখা দেয়। কারণ ভূগর্ভস্থ জলস্তর কমে যাওয়ার ফলে জল পাওয়া যায় না। সেটাও আমাদের দীর্ঘদিনের সমস্যা ছিল।এবার সেই সমস্যা মিটবে।স্বাধীনতার পর এই প্রথম এই ধরনের প্রকল্পের মাধ্যমে মানুষকে আর্সেনিক মুক্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা আমরা করতে পেরে আমরা খুশি।”