সুন্দরবনের রায়মঙ্গল নদীর জলচ্ছবি যেন তৃণমূলের পতাকা

দীর্ঘ দু বছরের অবসান।শেষমেষ আবার ধর্মতলা মুখি হচ্ছে তৃণমূল নেতা, কর্মী ও সমর্থকরা। উদ্দেশ্য একুশে জুলাই। ২০১৯ সালে করোনা মহামারীর আগে শেষবার জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শহীদ দিবসের বক্তব্য শুনতে গিয়েছিলেন আপামর বাংলার তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা। তারপর করানো অতিমারিতে ভার্চুয়ালি সভার মধ্য দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য শুনেছিলেন লক্ষ লক্ষ তৃণমূল সমর্থক। কিন্তু ধর্মতলার শহীদ দিবসের সমাবেশ আর মোবাইলের স্ক্রিনের ভার্চুয়াল মিটিং যে এক মাহাত্ম্য আনতে পারেনা সেটা সকলেই স্বীকার করেছিলেন। তাই আবার দীর্ঘদিন পর ধর্মতলা মুখি হতে পেরে খুশি সুন্দরবনের মানুষজন। বসিরহাট মহকুমার সন্দেশখালি ১ ও ২, হিঙ্গালগঞ্জ, হাড়োয়া ও মিনাখাঁ সহ সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকা থেকে একদিকে যেমন রায়মঙ্গল, গৌড়েশ্বর, কলাগাছি ও ইছামতি নদী পেরিয়ে মানুষ যেমন ধর্মতলা মুখি হচ্ছেন।অন্যদিকে মহকুমার আরেক প্রান্ত স্বরূপনগর ও বাদুড়িয়ার মত সীমান্তবর্তী এলাকা থেকেও বাসে করে যাত্রা শুরু করেছেন তৃণমূল নেতা কর্মী সমর্থকরা। সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকার দ্বীপ অঞ্চল থেকে নৌকায় করে তৃণমূলের পতাকা টাঙিয়ে সুসজ্জিত নৌবহরের মাধ্যমে তারা পৌঁছাচ্ছেন মূল ভূখণ্ডে। তারপরে সেখান থেকে বাস বা অন্য গাড়িযোগে পাড়ি দিচ্ছেন ধর্মতলার উদ্দেশ্যে। দু’বছর ধরে যে ছবি ছিল অধরা তাই পুনরায় একুশে জুলাই স্বাদ নিতে যেন বাঁধ মানছেন না সুন্দরবনের মানুষ। নৌকা-ভটভটি-লঞ্চে করে সুন্দরবনের বিভিন্ন দ্বীপ এলাকা থেকে মানুষজন ভরে ভরে ভিড় জমাচ্ছেন ধর্মতলায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে। তাই বলাই বাহুল্য সুন্দরবনের নদী গুলি যেন রঙে মিশেছে তৃণমূল পতাকার।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

four × 2 =