বিশ্ব উষ্ণায়ন প্রভাবে ফি বছর সুন্দরবনে আছড়ে পড়ছে সাইক্লোন।ভাঙছে নদী বাঁধ।প্লাবিত হচ্ছে গ্রাম।বিধ্বস্ত হচ্ছে জনপদ।আইলা,বুলবুল, উম্পুন,ইয়াসের মতোন একের পর এক ঘূর্ণিঝড় মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজ্য প্রশাসনের।বারে বারে প্রকৃতির রোষে পড়ে গৃহহীন হয়েছে সুন্দরবনের অনেক মানুষই।তাই আজ তারা হয়েছে পরিযায়ী শ্রমিক।তাই সুন্দরবন বাসীদের দুরবস্থা রোধ করতে এবার মাস্টার প্ল্যান রূপায়ণের পাশাপাশি বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের পক্ষে সংগটিত পরিকল্পনা গ্রহণের পথে অগ্রণী ভূমিকা নিতে চলেছে রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর। সেই কারণেই শনিবার দিনভর সুন্দরবনের বিচ্ছিন্ন ব-দ্বীপ এলাকা হিসাবে চিহ্নিত গোসাবা ব্লকে রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের বিভাগীয় মন্ত্রী জাবেদ আহমেদ খানের সঙ্গে ছিলেন সুন্দরবন উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা।দুই মন্ত্রী বিডিও অফিসে দপ্তরের সমস্ত আধিকারিক,আইআইটি খড়্গপুরের বিশেষজ্ঞ,গোসাবা ব্লকের ১৪ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ও জেলা পরিষদ সদস্যদের নিয়ে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়।মূলত গোসাবা ব্লক ১৪ টি গ্রাম পঞ্চায়েত অবস্থিত ৯ টি দ্বীপের মধ্যে। ঝড়ঝঞ্ঝার সময় একটি দ্বীপের সঙ্গে অন্য দ্বীপের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।কারণ একটি দ্বীপের সঙ্গে অন্য দ্বীপের মধ্যে এখনো পর্যন্ত সেতু নির্মাণের মাধ্যমে জোড়া যায়নি।বিপর্যয়ের সময় সাধারণ মানুষকে যাতে দ্রুত বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে নিয়ে যাওয়া যায় এবং বিপদগ্রস্ত মানুষকে দ্রুত উদ্ধার করা যায় তার জন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণের বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন মন্ত্রী জাবেদ আহমেদ খান।পরে দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে রাঙাবেলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের পাখিরালয় পর্যটন কেন্দ্রের নদী বাঁধের অবস্থা সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন মন্ত্রী। যাতে বর্ষার আগেই নদী বাঁধ মেরামতের ব্যবস্থার পাশাপাশি সরকারি উদ্যোগে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে দ্রুত কাজ সম্পন্ন করা যায় সে বিষয়ে তিনি দপ্তরের আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন।এ বিষয়ে মন্ত্রী জাভেদ আহমেদ খান বলেন, সুন্দরবনের মাস্টারপ্ল্যান তৈরীর উদ্যোগ নিয়েছে সেচ দপ্তর।এর পাশাপাশি কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায় আমাদের দপ্তরের পক্ষ থেকে সেই বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেই সাথে ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্স যাতে এখানে ব্যবস্থা করা যায় সেই বিষয়েও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।