সুন্দরবনে বাল্যবিবাহ, গ্রামবাসীদের সহায়তায় বিয়ে রুখলো প্রশাসন।

সুন্দরবনে বাল্যবিবাহ, গ্রামবাসীদের সহায়তায় বিয়ে রুখলো প্রশাসন।

এই উন্নত সমাজেও প্রতিনিয়ত ঘটে যাচ্ছে অসামাজিক , অমানবিক কাজ।রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এত সচেতন করেও সাধারণ মানুষের হুঁশ ফিরছে না।বসিরহাট মহকুমার হাড়োয়া থানা গোপালপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাগানআটি গ্রামে দেখা গেল এমনই এক দৃশ‍্য। পেশায় অটোচালক মোজাফফর মৌলভী,তিনি খুবই কষ্ট করে সংসার চালান। অটো চালিয়ে ছেলেমেয়েদের ঠিকভাবে লেখাপড়া শেখাতে পাচ্ছিলেন না।আর তাই নিজের মেয়ে ১৫ বছরের সোহানী খাতুনকে অভাব-অনটনের কারণে বিয়ে দিয়ে দিচ্ছিলেন।সোহানী গোপালপুর গার্লস হাই স্কুলে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছে কিন্তু অভাবের তাড়নায় আর স্কুলে যেতে পারেননি।প্রথমে গ্রামবাসীরা প্রতিবাদ করেও যখন ফল হচ্ছিল না তখন বাধ‍্য হয়েই স্থানীয় প্রশাসনকে জানান তারা।বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বসিরহাট মহকুমা আইনি পরিষেবা কমিটির প্যারালিগাল ভলেন্টিয়ার বাসন্তী সাহা ও মনীষা দেবনাথ খবর পেয়ে তখনই তড়িঘড়ি তারা খবর দেয় হাড়োয়া থানায়।হাড়োয়া থানার পুলিশ এবং বসিরহাট মহকুমা আইনি পরিষেবা কমিটির প্যারালিগাল ভলেন্টিয়ার অর্থাৎ পি এল ভি ভলান্টিয়াররা ও পুলিশ প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে তারা নাবালিকার বাড়িতে যান এবং তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন।নাবালিকার বাবার থেকে একটি মুচলেকা লিখিয়ে নেওয়া হয় যে সাবালিকা না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবেন না তাদের মেয়েকে।ওই নাবালিকা কন্যা যদি পড়াশোনা করতে চাই তাহলে তার সমস্ত রকমের সাহায্য করা হবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এমন আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে। কবে সচেতন হবে সাধারণ মানুষ তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।তবে প্যারালিগাল ভলেন্টিয়াররা জানিয়েছেন,তাদের এই বাল‍্যবিবাহ বন্ধের কাজ তারা চালিয়ে যাবেন যতদিন পর্যন্ত সাধারণ মানুষ সচেতন না হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

10 + 10 =