বর্তমানে মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের যক্ষা বিভাগ সংলগ্ন চত্বরই রয়েছে দেবী কালীমাতার মন্দিরটি।
পুজো উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, ৫৯ বছর আগে মেডিকেল কলেজের এক কর্মী, লক্ষণ বাসফোর শ্যামা কালীর পুজো শুরু করেন। আর সেই পুজো ধীরে ধীরে সাধারণ মানুষের পুজো হিসেবেই পরিচিত হয়ে যায়। তন্ত্রমতেই পুজো হয়। শ্যামা কালীর পুজোয় ছাগ বলি, পায়রা বলি দেওয়ার প্রচলন রয়েছে । সেই নিয়ম অনুযায়ী পুজোর রাতে ছাগ বলিও দেওয়া হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মেডিকেল কলেজে আসা বহু রোগীর আত্মীয়েরা রাতভর দেবী মায়ের পুজোয় সামিল হন। তাদের আত্মীয়দের সুস্থতা কামনা করে অনেকেই মানত করেন । কালীমাতা এতটাই জাগ্রত যে ভক্তদের সেই মনস্কামনা পূরণ করে থাকে। এই দৃঢ় বিশ্বাস ধরেই কয়েক দশক ধরেই মালদা মেডিকেল কলেজ চত্বরে হয়ে আসছে শ্যামা কালীর পুজো।
এই পুজোয় সাধারণ মানুষকে খিচুড়ি বিলির করা হয়ে থাকে। শুক্রবার দুপুরে মাকে বরণ করে নিরঞ্জন করা হবে মালদা শহরের মিশন ঘাট মহানন্দা নদীতে।