ধূপগুড়ি ব্লকের মাগুরমারি ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ আলতাগ্রাম এলাকায় জলঢাকা নদীর পাড়ে লাগাতার চলছে ভাঙ্গন। প্রতিনিয়ত বিস্তীর্ণ এলাকার কৃষি জমি গ্রাস করছে জলঢাকা নদী।বর্তমানে নদী গ্রাসে বিলীন হয়ে গেছে বিঘার পর বিঘা কৃষি জমি। নদী ভাঙ্গন এত দ্রুত গতিতে চলছে যে ,নদী প্রায় তীরবর্তী এলাকার বাড়ি গুলির কাছাকাছি চলে এসেছে।নদী ভাঙ্গনের কারণে রীতিমত আতঙ্কে রয়েছেন নদী তীরবর্তী পরিবারগুলি ।বাসিন্দাদের অভিযোগ,একাধিক বার লিখিত ভাবে জানানো সত্বেও, নদী ভাঙ্গন রোধে প্রশাসনের তরফে কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি।তাদের দাবি,অবিলম্বে ওই এলাকায় বাঁধ নির্মাণ করা হোক।যাতে কৃষি জমি ও বাড়িকে ভাঙ্গনের থেকে রক্ষা করা যায়।অবশেষ রবিবার সকালে দক্ষিণ আলতাগ্রাম এলাকার জলঢাকা নদীর ভাঙ্গন পরিদর্শনে আসেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সেচ দপ্তরের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক , প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন সহ সেচ দপ্তরের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা।সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি দুলাল দেবনাথ,ধূপগুড়ি ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক শঙ্খদীপ দাস, রাজগঞ্জের বিধায়ক খকেশ্বর রায়,পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দীনেশ মজুমদার, ধূপগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান রাজেশ কুমার সিং সহ অন্যান্যরা।এদিন স্কুটিতে চেপে নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পরিদর্শনে যান মন্ত্রী।মন্ত্রীদের কাছে পেয়ে নিজেদের অভাব অভিযোগের কথা তুলে ধরেন নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দারা।সেচ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক , প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন ও আধিকারিকরা জলঢাকা নদী তীরবর্তী এলাকা পরিদর্শন করে বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে অভাব অভিযোগের কথা শোনেন এবং দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন।