স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর দরবারে নালিশ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর।
পুলিশের বিরুদ্ধে উঠেছিল মিছিলে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। তারপরই পুলিশের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। পূর্ব মেদিনীপুরের এসপি অমরনাথ কে ও ডিজি মনোজ মালব্য, হলদিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শ্রদ্ধা পাণ্ডের বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের কাছে অভিযোগও জানাবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। সন্ধ্যা গড়িতে রাত হতে না হতেই সত্যিই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর দরবারে নালিশ জানিয়ে চিঠি দিলেন শুভেন্দু। চিঠিতে নাম করে তিন পুলিশ অফিসারের (আই পি এস) বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে কয়লাপাচার কাণ্ডে ইতিমধ্যেই তদন্তের সুতো গোটাতে শুরু করেছে ইডি-সিবিআই। বাংলা থেকে ডাক পড়েছে আট আইপিএস অফিসারের। যে সময় রাজ্যে কয়লা পাচারের বাড়বাড়ন্ত দেখা যায় সেই সময় এই সমস্ত অফিসারই পুলিশের বিভিন্ন উচ্চপদে কর্মরত ছিলেন বলে খবর। এই প্রেক্ষাপটে রাজ্যের তিন আইপিএসের বিরুদ্ধে শুভেন্দুর নালিশ নিয়েই জোরদার চাপানউতর শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। প্রসঙ্গত, স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষ উপলক্ষে নন্দীগ্রামের তেখালি থেকে রেয়াপাড়া পর্যন্ত তিরঙ্গা যাত্রা করার কথা ছিল নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী জননেতা শুভেন্দু অধিকারীর। ‘হার ঘর তেরঙ্গার’ প্রচারের উদ্দেশ্যেই আয়োজন করা হয়েছিল মিছিলের। কিন্তু, মিছিল শুরুর আগে পুলিশে ছয়লাপ হয়ে যায় গোটা এলাকা। দুপুর থেকেই খেজুরি তেখালি ব্রিজের কাছে হলদিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শ্রদ্ধা পাণ্ডের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী টহল দিতে শুরু করে। মিছিল শুরু হতেই আটাকানো হয় পথ। অনুমতি না থাকার জন্য মিছিল যেতে দেওয়া হয়নি বলে দাবি পুলিশের।
ঘটনা প্রসঙ্গে হলদিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শ্রদ্ধা পাণ্ডে বলেন, “বাইক নিয়ে খেজুরি তেখালি ব্রিজ থেকে রেয়াপাড়া পর্যন্ত কোনও অনুমতি নেই। তাই বাইক নিয়ে যাওয়া যাবে না। তবে হেঁটে কর্মসূচি পালন করা যেতে পারে।” এরপরই শুভেন্দুর সঙ্গে তীব্র বাদানুবাদও হয় পুলিশের। শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু বলেন, “তেখালি ব্রীজ থেকে রেয়াপাড়া পর্যন্ত প্রায় ১৮-২০ কিলোমিটার রাস্তা! পায়ে হেঁটে এই কর্মসূচি পালন করা কার্যত মুশকিল! এই কর্মসূচিতে কোন পলিটিক্যাল স্লোগান হবে না। শুধুমাত্র ভারত মাতার জয় স্লোগান দেওয়ার কথা রয়েছে! আমার নির্বাচনী কেন্দ্র নন্দীগ্রামে প্রধানমন্ত্রী বার্তা পৌঁছে দেওয়ার জন্যই এসেছি! এই কর্মসূচী পালন করতে কোন অনুমতির প্রয়োজন হয় না! এখানে ১৪৪ ধারা জারি হয়নি, কোন কোভিড প্রটোকল নেই!”