হালিশহরে কুপিয়ে খুনের ঘটনার কিনারা,ধারালো অস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা শশুরের,গ্রেপ্তার ৩।
উঃ ২৪ পরগণার হালিশহর ৭ নম্বর ওয়ার্ড মনসাতলায় অরুণ মন্ডলকে কুপিয়ে খুনের ঘটনার কিনারা করল হালিশহর থানার পুলিশ।তদন্তে নেমে হালিশহর থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করলো ৩ জনকে।
পুলিশ সূত্রে খবর, হালিশহর বারেন্দ্র গলি এলাকার বাসিন্দা সায়ন চক্রবর্তী।তারই প্রতিবেশী ছিলেন অরুণ মন্ডল।সায়নের শ্বশুরবাড়ি হালিশহর ৭ নম্বর ওয়ার্ড মনসাতলায়।গত ২০ তারিখ বিকেলে সায়ন চক্রবর্তী বাইকে চাপিয়ে অরুণ মন্ডলকে নিয়ে যায় হালিশহর ৭ নম্বর ওয়ার্ডে তার শশুরবাড়িতে। ওই বাড়িতে সায়ন চক্রবর্তীর শশুর সত্যজিৎ অধিকারী(বুড়ো) তিনি একাই থাকতেন।এদিন সায়ন ফোন করে তার পরিচিত এক ব্যক্তি কাঁচরাপাড়ার বাসিন্দা তারক দাসকে ডাকেন।সেদিন অরুণ মন্ডলের সাথে টাকা-পয়সা নিয়ে বচসা শুরু হয় সায়ন এবং ওই ব্যক্তির মধ্যে। এরপরে বচসা পৌঁছায় হাতাহাতিতে।হঠাৎই তারা একটি ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে অরুণ মন্ডলকে।ধারালো অস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করেছিল শশুর সত্যজিৎ অধিকারী(বুড়ো)।খুনের পর দেহটিকে ওই বাড়িতেই রেখে দেয় তারা।
৩দিন পর সায়নের শশুর নিজেই থানায় খবর দেয় তার জামাই এবং তার বন্ধু মিলে খুন করেছে এক ব্যক্তিকে এবং তার বাড়িতেই পড়ে রয়েছে অরুণ মন্ডলের রক্তাক্ত দেহটি।এর পরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে হালিশহর থানার পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় এবং সায়ন, তার শশুর বুড়ো অধিকারী এবং ওই বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ।তদন্তে নেমে গতকাল অর্থাৎ বুধবার মধ্যরাতে সায়ন চক্রবর্তী,তার শশুর সত্যজিৎ ওরফে বুড়ো অধিকারী এবং তারক দাসকে গ্রেপ্তার করেছে হালিশহর থানার পুলিশ। হালিশহরের বুকে এই নৃশংস ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।