১৭ বছর ধরে আইপিএল খেলেও একটা দল আজ পর্যন্ত খেতাব জিততে পারেনি। অন্যদিকে একটা দল টুর্নামেন্টে অভিষেকেই ২০২২ সালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। গত বছর রানার্স আপ হয় তারা। কিন্তু চলতি মরশুমে একেবারেই পরিস্থিতি অন্য। গুজরাত টাইটান্স শুভমন গিলের নেতৃত্বে খুব একটা ভাল পারফর্ম করতে পারেনি চলতি আইপিএলে। আরসিবি আরও একটা হতাশাজনক বছর কাটছে। যদিও শেষ ম্য়াচে এই গুজরাতের ঘরের মাটিতেই দুরন্ত জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।
এখনও পর্যন্ত টুর্নামেন্টের ইতিহাসে মােট চারবার মুখোমুখি হয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও গুজরাত টাইটান্স। তার মধ্যে ২ বার জিতেছে আরসিবি ও ২ বার জিতেছে গিলের দল। তবে চার ম্য়াচেই জয়ী দল রান তাড়া করতে নেমে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে।
আজকের ম্য়াচে স্পিনাররা দু দলেরই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। বিরাট কোহলির উল্টোদিকে রয়েছেন রাশিদ খান, নূর আহমেদরা। অন্যদিকে আরসিবির স্পিন লাইন আপে ভরসা দিয়েছেন করণ শর্মা। অলরাউন্ডার হিসেবে ম্য়াক্সওয়েল ভরসা জুগিয়েছেন দলকে। গুজরাতের আরও এক স্পিনার রয়েছেন সাই কিশোর। আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে এত বড় মাঠে যেভাবে সেঞ্চুরি হঁকিয়েছিলেন উইল জ্যাকস, তাতে চিন্নাস্বামীতে নামার আগে আত্মবিশ্বাস বাড়বে এই বিদেশির। এই মাঠ ছোটো ফলে বড় রান বোর্ডে ওঠার সম্ভাবনাই প্রবল।
টস জিতলে ব্যাটিং নেওয়ার সিদ্ধান্তই পছন্দ করবেন যে কোনও দলের অধিনায়ক। তবে আরসিবি রান তাড়া করেও জিততে পারে। উইল জ্যাকস আগের ম্য়াচে ৪১ বলে শতরানের ইনিংস খেলেছিলেন। বিরাটের ব্যাটেও অর্ধশতরান এসেছে। তবে তাঁর স্ট্রাইক রেট নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে আগের ম্য়াচে ৯ উইকেটে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল আরসিবি। প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে সাই সুদর্শনের দুরন্ত ব্য়াটিংয়ের সুবাদে ২০০ রান বোর্ডে তুলে নেয় গুজরাত। সেখানে থেকেই রান তাড়া করতে নেমে একমাত্র ডু প্লেসির উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য় প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় বেঙ্গালুরু ব্রিগেড।