আইপিএলের এলিমিনেটরে (IPL 2024 Eliminator) মুখোমুখি টুর্নামেন্টের সবথেকে ইনফর্ম ও সবথেকে আউট অফ ফর্ম দুই দল। একদিকে নাগাড়ে ছয় ম্যাচ জিতে সকলকে চমকে দিয়ে প্লে-অফে জায়গা পাকা করে নিয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (Royal Challengers Bengaluru)। অপরদিকে, রাজস্থান রয়্যালস (Rajasthan Royals) নিজেদের শেষ পাঁচ ম্যাচের একটিতেও জয় পায়নি। এমন পরিস্থিতিতে আমদাবাদে নামছে দুই দল।
এলিমিনেটর মানে একটাই সুযোগ। ভুলত্রুটির কোনও অবকাশ নেই। মাসখানেক আগেও দুই দলের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন ছিল। টানা ছয় ম্যাচ হেরে আরসিবি কার্যত টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাওয়ার দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছিল। তবে রূপকথার প্রত্যাবর্তনে বিরাট কোহলিরা প্লে-অফে। অপরদিকে, আরসিবি প্রত্যাবর্তনের সফর শুরু করার ঠিক দিন দু’য়েক পরেই রাজস্থান রয়্যালস নয় ম্যাচের মধ্যে নিজেদের অষ্টম ম্যাচটি জিতে কার্যত প্লে-অফ পাকা করে ফেলেছিল। তবে তারপরেই ভাগ্য বদল। অবশ্য দল পরপর হারলেও, রাজস্থান রয়্যালস অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন কিন্তু তাঁর দল খারাপ ক্রিকেট খেলেছে, তা মানতে নারাজ।
তবে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে আত্মবিশ্বাস এবং ফর্মের গুরুত্ব ঠিক কতটা, তা আলাদা করে বলে দেওয়ার প্রয়োজন নেই। রাজস্থান ঠিক এই ফর্ম ছাড়াই মাঠে নামবে। উপরন্তু, দলের তারকা ক্রিকেটার জস বাটলারকে রাজস্থান এই মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে পাবে না। দেশের হয়ে খেলার জন্য ইংল্যান্ডে ফিরে গিয়েছেন তিনি। এই বাটলারের শতরানে ভর করেই কিন্তু দুই দলের শেষ সাক্ষাৎকারে আরসিবিকে হারিয়েছিল রাজস্থান। তাঁর না থাকাটা নিঃসন্দেহে বিরাট ধাক্কা। সেই ম্যাচে আরও এক ক্রিকেটার শতরান হাঁকিয়েছিলেন। তিনি বিরাট কোহলি (Virat Kohli)।
গোটা মরশুমে তেমন আহামরি পারফর্ম না করলেও, কোয়ালিফায়ার ১-এ মিচেল স্টার্ক বিধ্বংসী স্পেলে প্রমাণ করে দিয়েছেন যে চ্যালেঞ্জ যখন কঠিন হয়, তখন অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতাই কথা বলে। স্টার্কের মতো কোহলিও বড় ম্যাচের ক্রিকেটার। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক কোহলি কিন্তু দুরন্ত ছন্দেও রয়েছেন। শেষ তিন ম্যাচে তাঁর সংগ্রহ যথাক্রমে ৯২, ২৭ ও ৪৭। আমদাবাদে ব্যাটিং সহায়ক পিচে কোহলি ব্যাট হাতে জ্বলে উঠলে অবাক হওয়ার কিছুই থাকে না। তাঁর বিরুদ্ধে কিন্তু রাজস্থানের হাতিয়ার হতে পারেন সন্দীপ শর্মা (Sandeep Sharma)।