‘অপরাজিতা বিল’ নিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করলেন তৃণমূলের ১১ জনের প্রতিনিধি দল। ধর্ষণের মতো নৃশংস অপরাধে দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার সুপারিশ-সহ পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় পাশ করা হয়েছে ‘অপরাজিতা বিল’। কিন্তু তার পরেও মেলেনি রাষ্ট্রপতির অনুমোদন। তাই এই বিল আইনে রূপান্তরিত করা সম্ভব হয়নি। ছয় মাস অপেক্ষার পর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আবেদনের সিদ্ধান্ত তৃণমূলের। সেই মতোই বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য সময় চায় তাঁরা। সাক্ষাতের অনুমোদন মিলতেই এ দিন সকালেই রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূলের সংসদীয় দল। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ৯ মহিলা সাংসদ-সহ ১১ জন সদস্যের সংসদীয় প্রতিনিধি দল দরবার জানান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে।

২০২৪ সালে ৬ সেপ্টেম্বর রাজ্য বিধানসভায় সর্বসম্মতিক্রমে পাশ হয় অপরাজিতা বিল। সেই বিল আইনে পরিণত করার জন্য দরকার রাষ্ট্রপতির সাক্ষর। দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করে সেই আর্জিই জানান তৃণমূল প্রতিনিধিরা। প্রতিনিধি দলে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও ছিলেন সায়নী ঘোষ, জুন মালিয়া, দোলা সেন, মহুয়া মৈত্র, সুম্মিতা দেব, ডেরেক ও’ব্রায়েন-সহ প্রমুখ। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের পর বাইরে এসে তৃণমূল প্রতিনিধি দল জানায়, ‘রাষ্ট্রপতি ধৈর্যের সঙ্গে শুনেছেন আমাদের কথা। তিনি উদ্বিগ্ন বলেও মনে হয়েছে আমাদের। বিষয়টি দেখবেন বলে জানিয়েছেন।

’সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘সর্বসম্মতির মাধ্যমে গত বছর রাজ্য বিধানসভায় অপরাজিতা বিল পাস হলেও, সেই বিলে অনুমোদন আসছে না বলে জানাগিয়েছে। বিলম্ব হচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে, রাষ্ট্রপতির কাছে মহিলা সাংসদদের নিয়ে উপস্থিত হয়েছিলাম। তাঁতে জানিয়েছি, নিশ্চিত ভাবে মৃত্যু অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, দোষী এবং ধর্ষকদের এই ধরনের শাস্তি প্রদানের ক্ষেত্রে এই বিলের মাধ্যমে নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে রাজ্য।’ সংসদের বাজেট অধিবেশনের প্রথম পর্বের শেষ দিনে তৃণমূলের এই উদ্যোগ খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে সংসদীয় সূত্রে দাবি জানানো হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

fifteen − twelve =