নারাইনের সেঞ্চুরি, 20 ওভারের শেষে কেকেআরের স্কোর 223/6
তবে কালেভদ্রে এক-আধজন এমন ক্রিকেট খেলে দেন যে, কোহলির বিধ্বংসী ইনিংসও চলে যায় পিছনের সারিতে। এই যেমন জস বাটলার (Jos Buttler)। ইংরেজ তারকা এবারের আইপিএলে এমন একটা ইনিংস খেলেছেন যে, সাড়া ফেলে দিয়েছেন। বিরাট কোহলির সেঞ্চুরির প্রদীপও নিভিয়ে দিয়েছেন ব্যাটের ঝাপ্টায়। কোহলি যে ম্যাচে ৭২ বলে অপরাজিত ১১৩ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছিলেন, সেই ম্যাচেই পাল্টা অপরাজিত সেঞ্চুরি করে রাজস্থান রয়্যালসকে ম্যাচ জিতিয়েছিলেন জস বাটলার। মাত্র ৫৮ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে হারিয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস। ম্যাচের সেরার স্বীকৃতিও ছিনিয়ে নিয়েছিলেন ইংরেজ তারকাই।
যদিও হাঁটুতে চোট পেয়েছিলেন বাটলার। যে কারণে পাঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে রাজস্থান রয়্যালসের আগের ম্যাচে খেলতে পারেননি। স্বস্তিতে ছিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের (KKR vs RR) সমর্থকেরা। বাটলার খেলতে না পারা মানে রাজস্থানের ব্যাটিং শক্তি কিছুটা হলেও কমে যাওয়া। ঘরের মাঠে রাজস্থানকে হারাতে পারলেই আইপিএল পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে চলে যাবে কেকেআর।
তবে নাইট শিবিরের রক্তচাপ আর কেকেআর ভক্তদের উদ্বেগ বাড়িয়ে কার্যত ফিট বাটলার। সোমবার সন্ধ্যায় ইডেনে রাজস্থান রয়্যালসের প্র্যাক্টিসের সময় অবশ্য তাঁর ডান হাঁটুতে স্ট্র্যাপ দেখা গেল। সাংবাদিক বৈঠকে বাটলারের ফিটনেস নিয়ে জানতে চাওয়া হলে রিয়ান পরাগও ধোঁয়াশা রেখে গেলেন। বললেন, ‘সেটা ফিজিও বলতে পারবেন।’
তবে স্বচক্ষে যে ছবিটা দেখা গেল, তাতে আর কোনও ধোঁয়াশা, ধন্দ থাকা উচিত নয়। ঘড়ির কাঁটায় সন্ধ্যা তখন সাড়ে ছটা। নেটে ব্যাট করতে ঢুকলেন বাটলার। পরের প্রায় দেড় ঘণ্টা চুটিয়ে ব্যাটিং করলেন। প্রথমে এল ব্লকের সামনের নেটে। পরে মাঝের উইকেটের পাশের নেটে। বাটলারকে প্র্যাক্টিসে দেখা গেল বিধ্বংসী মেজাজে। একের পর এক বল ওড়ালেন। স্পিনারদের স্টেপ আউট করলেন। স্যুইপ, রিভার্স স্যুইপ, স্কুপের মতো অস্ত্রও দেখা গেল। সব কিছু ঠিকঠাক চললে কেকেআরের বিরুদ্ধে মাঠে ফেরা উচিত বাটলারের।