প্রয়াত নানুরের সূচপুর গণহত্যার মূল সাক্ষী !

দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্য জনিত অসুস্থতায় তিনি বাড়িতেই শয্যাশায়ী ছিলেন। অবশেষে সেই অসুস্থতা নিয়েই প্রয়াত হলেন নানুরের সূচপুর গণহত্যার অন্যতম সাক্ষী তথা বরিষ্ঠ তৃণমূল নেতা আব্দুল খালেক ( ৭৩ )। মঙ্গলবার সকালে নানুরের পুরন্দরপুর গ্রামের বাসভবনে তাঁর মৃত্যু হয়।উল্লেখ্য, ২০০০ সালের ২৭শে জুলাই সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাতে নানুরের সূচপুর গ্ৰামে ১১ জন তৃণমূল সমর্থক খেতমজুর প্রাণ হারিয়েছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দিল্লি থেকে নানুরে ছুটে এসেছিলেন তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনার বিচার চেয়ে সরব হয়েছিলেন রাজ্যজুড়ে।

আব্দুল খালেক ছিলেন ওই হত্যাকাণ্ডের অন্যতম স্বাক্ষী। সাক্ষ্যদান থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য আর্থিক প্রলোভন দেখিয়ে তাঁর উপরে চাপ সৃষ্টি করা হয় বলেও অভিযোগ। তার সরকারি দেহরক্ষী সাথে থাকলেও আক্রান্তও হয়েছেন বহুবার। তবুও সরে দাঁড়াননি তিনি। টানা ২ বছর ঘরছাড়া হয়ে বোলপুরে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ি ,পার্টি অফিসে থেকেছেন তিনি। তাঁর স্বাক্ষ্যদানের উপরে ভিত্তি করে ২০১০ সালে ৪৪ জন সিপিএম নেতাকর্মীর যাবজ্জীবন সাজা হয়।

এনিয়ে নানুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে বলা হয়, ‘ জেলায় তৃণমূলের উত্থানের পিছনে সূচপুর গণহত্যার ন্যায়বিচার অনুঘটকের কাজ করেছে। সেই ন্যায় বিচারের জন্য তার অবদান অনস্বীকার্য।’

তার মৃত্যুর খবর পেয়ে এদিন সকালে সূচপুর গ্ৰামের আব্দুল খালেকের বাড়িতে পৌঁছান জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল সেখ,তার মৃত্যুতে শোকাহত হয়ে পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানিয়ে পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

4 × 3 =