লিওনেল মেসিকে এক ঝলক দেখার আশায় শনিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ভিড় জমিয়েছিলেন হাজার হাজার ফুটবলপ্রেমী। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মেসিকে মাঠে নামতে না দেখে চরম হতাশা ছড়িয়ে পড়ে দর্শকদের মধ্যে। সেই হতাশাই মুহূর্তের মধ্যে রূপ নেয় ক্ষোভে। এই ক্ষোভে ভাঙচুরে তছনছ হয়ে যায় যুবভারতী স্টেডিয়াম।
মেসিকে না দেখতে পেয়ে উন্মত্ত দর্শকদের ভাঙচুরে ক্ষতি হয়েছে স্টেডিয়ামের লোয়ার টিয়ারে। অসংখ্য বাকেট চেয়ার ভেঙে ফেলা হয়েছে। তাছাড়াও গ্যালারির লেভেল টু ও লেভেল থ্রি-র রেলিংও ভেঙে দেওয়া হয়েছে। ক্ষতির তালিকায় রয়েছে প্লেয়ারদের মাঠে নামার টানেলও। ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে গোলপোস্টের নেট, এমনকি গোলপোস্টের একটি অংশ উপড়ে ফেলার ঘটনাও ঘটেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মাঠের টার্ফও।
সূত্রের দাবি, এই ভাঙচুরে মোট ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ২ কোটি থেকে ২ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা। উল্লেখ্য, এর আগেও ১৯৮৮ সালে যুবভারতী স্টেডিয়ামে বাকেট চেয়ার ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছিল। সেই সময় প্রাক্তন ক্রীড়ামন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তী বাকেট চেয়ার খুলে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন।
পরবর্তীতে ২০১৭ অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের আগে ঢেলে সাজানো হয় সল্টলেক স্টেডিয়াম। তখন ফের গোটা স্টেডিয়ামে বসানো হয় নতুন বাকেট চেয়ার। শনিবার সেই চেয়ারগুলিই ভাঙচুর করা হয়েছে। এই বিপুল ক্ষয়ক্ষতির পর স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে স্টেডিয়াম মেরামতির এত টাকা কে দেবে? রাজ্য সরকার নাকি পুরো দায় নিতে হবে উদ্যোক্তাদের?
লিওনেল মেসিকে এক ঝলক দেখার আশায় শনিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ভিড় জমিয়েছিলেন হাজার হাজার ফুটবলপ্রেমী। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মেসিকে মাঠে নামতে না দেখে চরম হতাশা ছড়িয়ে পড়ে দর্শকদের মধ্যে। সেই হতাশাই মুহূর্তের মধ্যে রূপ নেয় ক্ষোভে। এই ক্ষোভে ভাঙচুরে তছনছ হয়ে যায় যুবভারতী স্টেডিয়াম।
