হাসপাতালে ভর্তি করানোর চার দিনের মাথায় হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত। যাদবপুরকাণ্ডের দিন দুয়েক পরেই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল অসুস্থ ভাস্করকে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল। তবে ছাড়া পেলেও আপাতত বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবেন না তিনি বলে জানাগিয়েছে। কোন‌ও প্রকার উত্তেজনা কিংবা মানসিক চাপে ভাস্করের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে পারে বলে জানাগিয়েছে। ফলে আগামী বেশ কয়েক দিন তাঁকে বাড়িতেই পুরোপুরি বিশ্রামে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

অন্য দিকে,গতসোমবার দুপুর ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে সময় বেঁধে দিয়েছেন যাদবপুরের আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীরা। ওই সময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সজিকিউটিভ কাউন্সিল-কে বৈঠকে বসতে হবে। বৈঠকে সদর্থক পদক্ষেপ করা না-হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনকে স্তব্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পড়ুয়ারা। অরবিন্দ ভবনে উপাচার্য, সহ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রারের অফিস-সহ বিভিন্ন দফতর ওই দিন বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। তবে পড়ুয়াদের যাতে কোনও অসুবিধা না-হয়, সে কথা মাথায় রেখে ‘কন্ট্রোলার অফ এক্সামিনেশন অফিস এবং বৃত্তি বিভাগ-কে এর আওতায় রাখা হচ্ছে না।

সেই আবহে শনিবার পড়ুয়াদের একটি ইমেল পাঠিয়ে তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা বলেন উপাচার্য। পাশাপাশি, বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাভাবিক পঠনপাঠনের পরিবেশ ফিরিয়ে আনার এবং শিক্ষাঙ্গনে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় রাখার অনুরোধও জানান তিনি। একই মর্মে বার্তা দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন জুটাও। শনিবারই অসুস্থ উপাচার্যকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন কয়েক জন ছাত্র। ফলে সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলবেন, না কি ছাত্রদের আন্দোলন আর‌ও তীব্র হবে, সে নিয়েই চলছে জল্পনা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

11 − 5 =