ভোটার তালিকায় থাকা একাধিক ব্যক্তির একই এপিক নম্বর ? এনুমারেশন ফর্ম পূরণের সময় তা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে। এমন পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছেন ভোটাররা তারা ভিড় তৃণমূলের শিবিরে খবর সূত্র মারফত । তমলুক বিধানসভার শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের রঘুনাথপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের একাধিক বুথে ২০০২ সালে দুই শতাধিক ভোটারের এপিক নম্বর একই রয়েছে বলেই অভিযোগ । তালিকা দেখে রীতিমতো অবাক সকলেই।
নির্বাচন কমিশনের ২০০২ সালের প্রকাশিত ভোটার তালিকা অনুযায়ী, একাধিক বুথের ভোটার কার্ডের এপিক নম্বর একই রয়েছে বলে অভিযোগ। ফলে আতঙ্কিত ভোটাররা এখন ভিড় জমাচ্ছেন পঞ্চায়েত অফিসের সামনে যুব তৃণমূলের এসআইআর সহায়তা ক্যাম্পে।
প্রশাসন সূত্রে খবর , শুধু তাই নয়, কোথাও কোথাও আবার ওই ভোটার তালিকায় বহু মানুষের নামের পাশে এপিক নম্বর খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না বলেও অভিযোগ উঠেছে। একই পরিস্থিতি এই গ্রাম পঞ্চায়েতের ধুরপা, মহিষদা, রঘুনাথপুর, তরঙ্গাখালী-সহ বিভিন্ন এলাকায়। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা নেতা জয়দেব বর্মন বলেন, “যুব তৃণমূলের পক্ষ থেকে এনুমারেশন ফর্ম পূরণের শিবির চলাকালীন একটা অভূতপূর্ব বিষয় প্রকাশ্যে এসেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, এই এলাকার একাধিক বুথের ভোটারদের এপিক নম্বর একই রয়েছে। যখন নির্বাচন কমিশন বলছে, পরিচ্ছন্ন ভোটার তালিকা করতে হবে, অথচ, দেখা যাচ্ছে, ২০০২-এর ভোটার তালিকা খুলতেই মানুষ বিভ্রান্তির মুখে পড়ছেন। তাই এই বিষয়টা কিভাবে সুরাহা হবে, তা নিয়েও আমরা দুশ্চিন্তায় রয়েছে বলেও জানান তিনি ।
