বাজেটে রোগীদের জন্য বোরো ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।শুল্ক মাফ ৩৬টি জীবনদায়ী ওষুধে। দিন যত যাচ্ছে বিশেষজ্ঞদের মতে ততই বাড়ছে ক্যানসার আক্রান্তের সংখ্যা। নিঃশব্দ অতিমারির চিকিৎসায় বিপুল টাকা খরচ হয়। ওষুধ কিনতে গিয়েও বিপাকে পড়েন রোগীর পরিবারের লোকজন। শনিবারের বাজেটে ক্যানসার-সহ একাধিক মারণরোগের ৩৬টি জীবনদায়ী ওষুধে ১০০ শতাংশ কর ছাড়ের কথা ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। এছাড়া বাজেটে ৬টি জীবনদায়ী ওষুধে ৫ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে। সুতরাং রোগীস্বার্থে এই ঘোষণা যে নিঃসন্দেহে অনেক বড় সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ বা ICMR-এর তথ্য অনুযায়ী, দেশের ১৪.২ শতাংশ মানুষ ক্যানসারে আক্রান্ত। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত মহিলারা। তাঁরা মূলত সার্ভাইক্যাল ক্যানসারে আক্রান্ত হন। আর বাকিরা ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত। কয়েক লক্ষ মানুষ প্রাণ হারান এই রোগে। এই পরিসংখ্যান যথেষ্ট উদ্বেগজনক। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সে কারণে দেশের প্রতিটি জেলা হাসপাতালে ক্যানসার সেন্টার তৈরির কথা ঘোষণা করেন নির্মলা সীতারমণ। এই উদ্যোগের ফলে আগামী ৩ বছরে অন্তত ২ হাজার ক্যানসার সেন্টার তৈরি হবে দেশে।
উন্নত যন্ত্রপাতি এবং ওষুধপত্রের মাধ্যমে ভারতের চিকিৎসা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে বদ্ধপরিকর কেন্দ্রের মোদি সরকার। নির্মলা সীতারমণ এদিন বাজেটে ‘চিকিৎসা পর্যটনে’র উপর জোর দেওয়ার কথাও উল্লেখ করেন। সেক্ষেত্রে পিপিপি মডেলে কাজ হবে বলেই জানান। মেডিক্যাল কলেজগুলিতে আগামী পাঁচ বছরে ৭৫ হাজার আসন বৃদ্ধির ঘোষণাও করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। গবেষণাক্ষেত্রে উন্নতিতেও বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে।