রাত পোহালেই আগামিকাল যুদ্ধের মহড়া। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় প্রতিদিনই সামরিক মহড়া চালাচ্ছে ভারতীয় সেনা। দেশের সব রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সেই সূত্র ধরেই ,আগামিকাল অর্থাৎ ৭ই মে ওই মক ড্রিলের দিন ধার্য করা হয়েছে। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে নাগরিকদের উপর যেন কোনও আঁচ না পড়ে, ক্ষয়ক্ষতি যথাসম্ভব সামাল দেওয়া যায়, সেই সব বিষয়কে মাথায় রেখেই আগেভাগে প্রস্তুতি সেরে রাখতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। এমনকি দেশে বিমান হামলা কী পদক্ষেপ নিতে হবে, তাও সেখানো হবে এই মক ড্রিলে।

বাংলার ৩০ এলাকায় আগামিকাল চলবে এই মহড়া। ব্ল্যাক আউট হলে কী করণীয়, সেই নিয়ে মক ড্রিল চলবে কলকাতাতেও। তবে সব থেকে বেশি মক ড্রিল চলবে উত্তরবঙ্গে। সাধারণ ভাবেই, নানা সময় সন্ত্রাসবাদীদের ট্রানজিট রুট এই উত্তরবঙ্গই হয়ে থাকে, সেই ভিত্তিতেই বাংলার ‘মাথায়’ বেশি জোর দিচ্ছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। উত্তরবঙ্গের কোচবিহার, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, মালদা, শিলিগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, বালুরঘাট, ফারাক্কায় হবে মক ড্রিল। এছাড়াও, গ্রেটার কলকাতা, দুর্গাপুর, হলদিয়া, হাসিমারা, খড়্গপুর, আসানসোল, রায়গঞ্জ, ইসলামপুর, দিনহাটা-সহ হাওড়া, হুগলির একাধিক এলাকায় চলবে মহড়া।

মক ড্রিলে বাজবে যুদ্ধ বিমান আকাশে ওড়ার সময় অশনি সংকেত দেওয়া সাইরেন। কীভাবে রেডিয়ো কমিউনিকেশনের করা হয়ে থাকে।কন্ট্রোল রুম থেকে সব কীভাবে পরিচালনা হয়। শত্রুপক্ষের আক্রমণের আগেই নিজেদের রক্ষা করার জন্য প্রশিক্ষণ।স্কুল, অফিস, কমিউনিটি সেন্টারে হবে ওয়ার্কশপ। হামলা হলে, কাছাকাছি আশ্রয়স্থল কীভাবে খুঁজে বের করতে হবে, তা শেখানো হবে। হামলার মুহূর্তে মাথা ঠাণ্ডা রেখে কাজ করা, প্রাথমিক চিকিৎসা করাও শেখানো হবে। মিলিটারি বেস, পাওয়ার প্লান্ট বা গুরুত্বপূর্ণ বিল্ডিংগুলি এমনভাবে ঢেকে দেওয়া হবে, যাতে স্যাটেলাইটে ধরা না পড়ে। হঠাৎ ব্ল্যাকআউট বা অন্ধকার হয়ে যাবে শহর। নিভে যাবে সব আলো।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

20 − 16 =