মতান্তরে বিশ্বক্রিকেটের সবথেকে বড় দ্বৈরথ। রবিবাসরীয় মরুদেশে মুখোমুখি দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তান। স্বাভাবিকভাবেই এই ম্যাচ ঘিরে উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে। দুবাইতে ভারত যেখানে চলতি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নাগাড়ে দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালের পথে এক পা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে মাঠে নামবে। সেখানে পাকিস্তান প্রথম ম্যাচে পরাজিত হওয়ার পর ভারতের বিরুদ্ধেও হারলেও, মহম্মদ রিজওয়ানদের সেমিফাইনালে পৌঁছনোর পথ অনেকটাই কঠিন হয়ে যাবে। তাই এক হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচ হওয়ার পূর্ণ সম্ভাবনা রয়েছে।

ভারত ও পাকিস্তান ৫০ ওভারের ফর্ম্যাটে এখনও পর্যন্ত মোট ১৩৫টি ম্যাচে একে অপরের মুখোমুখি হয়েছে। ইতিহাস কিন্তু নিঃসন্দেহেই পাকিস্তানের পক্ষে। ওয়ান-ডে তে ভারত যেখানে ৫৭টি ম্যাচ জিতেছে, সেখানে পাকিস্তানের জয়ের সংখ্যা অনেকটাই বেশি। পড়শি দেশ মোট ৭৩টি ম্যাচ জিতেছে। পাঁচটি ম্যাচ অমীমাংসিতই শেষ হয়েছে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি টুর্নামেন্টেও কিন্তু জয়ের নিরিখে এগিয়ে পাকিস্তানই।

২০০৪ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে প্রথমবার দুই দল মুখোমুখি হয়। তারপর আরও চারবার একে অপরের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছে দুই দল। ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ফাইনাল মিলিয়ে মোট তিনটি ম্যাচ জিতেছে পাকিস্তান। দুই ম্যাচে জয় পেয়েছে ভারতীয় দল। তবে রবিবার নতুন দিন, নতুন ম্যাচ। এই ম্যাচে যে ফর্ম, ইতিহাস কোনওকিছুর তেমন গুরুত্ব নেই, সেকথা সকল বিশেজ্ঞরাই বলে থাকেন। এবার দেখার ম্যাচশেষে জয়ের হাসি কে হাসেন।

তবে এই ম্যাচকে ‘ওভার-হাইপড’ বলে দাবি করেন প্রাক্তন ভারতীয় তারকা হরভজন সিংহ। তাঁর এই দাবিকে অবশ্য টিম ইন্ডিয়ার সহ-অধিনায়ক শুভ্মন গিল সমর্থন করছেন না। গিল ম্যাচের আগেরদিন সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের একটা দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। দুই দল একে অপরের বিরুদ্ধে মাঠে নামলে সকলেই এই ম্যাচের দিকে তাকিয়ে থাকেন। এত মানুষজন যদি এই দ্বৈরথ দেখে আনন্দ পায়, তাহলে আমরা মনে হয় না এই ম্যাচ ওভার-হাইপড বা আন্ডার-হাইপড, কোনও কিছু বলার জায়গায় আমরা রয়েছি। আমরা শুধু মাঠে নেমে নিজের দলকে জেতানোর চেষ্টা করি।’ তবে যে যাই বলুন না কেন, এই ম্যাচ ঘিরে কিন্তু উন্মাদনার কোনওরকম কমতি নেই। এবার ম্যাচ শুরুর অপেক্ষা মাত্র।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

1 × 4 =