আহত তৃণমূল নেতার সঙ্গে হাসপাতলে দেখা করতে গেলেন এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন মালদা জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষা মর্জিনা খাতুনও। দেখা করে আহত নেতার শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নিলেন। সেখান থেকে বেরিয়েই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই ঘটনার নিয়ে বিরোধীদের দিকে তুললেন অভিযোগের আঙুল। মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুরের হরদমনগরের ঘটনা নিয়ে অব্যাহত রাজনৈতিক তরজা। গতকাল মঙ্গলবার জমি নিয়ে বিবাদের জেরে ওই এলাকারই সক্রিয় তৃণমূল কর্মী রামচন্দ্র দাস কে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠে। যিনি হরদম নগর জুনিয়র হাই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। সাথে তৃণমূলের জেলা কমিটির সদস্য। তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মেরে খুনের চেষ্টা করা হয়। সেই কোপ এসে পড়ে হাতে। রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীন হাসপাতালে এবং পরবর্তীতে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয় শংকর দাস সহ ১১ জনের নামে। শংকর দাস এলাকার দাপুটে কংগ্রেস নেতা বলে পরিচিত। এখনো পর্যন্ত এই ঘটনায় তিনজন গ্রেপ্তার হয়েছে। আর সমগ্র ঘটনা নিয়ে তুঙ্গে ওঠে তৃণমূল এবং কংগ্রেসের মধ্যে তরজা। আর আজ বুধবার সেই তরজাকে আরো কিছুটা উস্কে দিলেন হরিশ্চন্দ্রপুর বিধানসভার বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেন। আহত তৃণমূল নেতাকে দেখতে হাসপাতালে যান তাজমুল হোসেন, জেলা পরিষদের শিশু নারী ও ত্রাণ কর্মাধ্যক্ষা মর্জিনা খাতুন সহ অন্যান্য তৃণমূল নেতৃত্ব। তার সঙ্গে দেখা করে কথাবার্তা বলেন। শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নেন। তারপর বেরিয়ে এসে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিরোধীদের এক হাত নেন তাজমুল হোসেন। রামচন্দ্র দাস তৃণমূল করে বলে তাকে আক্রান্ত হতে হয়েছে। জমি বিবাদ কারণ নয় তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে বিরোধীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। এমনটাই অভিযোগ তোলেন রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী। সাথে দোষীদের শাস্তির দাবি জানান তিনি।
মন্ত্রী তাজমুল হোসেন বলেন, রামচন্দ্র মাস্টার মশাইকে আক্রান্ত হতে হয়েছে তৃণমূল করার জন্য। বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত দুষ্কৃতীরা এই কাজ করেছে। খুব ভয়ানক ভাবে তাকে মারা হয়েছে। ভারতের আইন অনুযায়ী আমি দোষীদের শাস্তির দাবি জানাবো।
প্রসঙ্গত হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকাতে জমি বিবাদ নিয়ে বারবার প্রচন্ড উত্তেজনা ছড়াচ্ছে। প্রায় প্রত্যেকদিন জমি বিবাদ নিয়ে খবরের শিরোনামে উঠে আসছে এই এলাকায়। এর সঙ্গে সরাসরি ভাবে যুক্ত থাকছে রাজনীতি। এই ধরনের ঘটনায় আতঙ্ক বাড়ছে সাধারণ এলাকাবাসীর।