দূর্গাপূজা নয় লক্ষ্মীই এই গ্রামের প্রধান আরাধ্য দেবী।এই গ্রামে ৩০ বারোয়ারী ও বাড়ির পুজো সহ প্রায় ১২০ পূজো হয়। গ্রামের লোকজনের দাবি বন্যা কবলিত এলাকায় এই সময় প্রায়শই বন্যা হয়।তাই বন্যার ফসল রক্ষা করতে এই গ্রামে শুরু হয়েছিল মা লক্ষ্মীর আরাধনা। এখানে কোন কোন পূজোর বয়স দেড়শো বছরেরও বেশি।পাশাপাশি বারোয়ারী পূজো গুলোতে এখন দেখা যাচ্ছে থিমের ছোঁয়া।কোথায় এই বছরে মৃত গায়ক গায়িকাদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা জানিয়ে থিম “সরগম” শিল্পীদের ছবির পাশাপাশি বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছে মন্ডপ। কোথাও মন্ডপ তৈরি হয়েছে কৈলাসের আদলে কোথাও বা হাসপাতাল। তার মধ্যে দিয়ে তুলে ধরা হয়েছে স্বাস্থ্য কর্মীদের করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ছবি।পাশাপাশি বাড়ির পুজো গুলিতেও প্রস্তুতি চলছে জোর কদমে। এলাকার মানুষের দাবি ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পৌঁছে গিয়েছে আত্মীয় স্বজনরা। তারা জানাচ্ছেন দুর্গাপূজা নয় লক্ষ্মী পুজোতেই নতুন জামা কাপড় পড়ে প্রতিমা দর্শনে বেরোয় তারা। তিন দিন ধরে চলে মেলা। অবশেষে কার্নিভালের মধ্যে দিয়ে বিসর্জনের মাধ্যমে শেষ হয় এই উৎসব।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

1 × three =