কালীপুজোয় এবার বীরভূমের মণ্ডল বাড়িতে নেই তেমন জাঁকজমক।ভক্তের নাম অনুব্রত মণ্ডল, মা কালীর ওপর তার আস্থার কথা জানে বাংলার মানুষ।বীরভূমের তৃনমূল কার্যালয়ের যে কালীপুজো সেই কালীপুজোকে সকলেই চেনে “কেষ্টর কালী” নামে।এই কালীপুজোকে ঘিরে উন্মাদনা থাকে তুঙ্গে।দুর্গাপুজো পেরোলেই কেষ্টর উপস্থিতিতে দলীয় কার্যালয়ে কালী পুজোর প্রস্তুতি ঘিরে শুরু হয় উন্মাদনা।কালীপুজোর দিন সাধারণ মানুষের অবাধ প্রবেশ থাকে কালী মন্দিরে।রাত্রে হয় খাওয়া-দাওয়া। প্রায় কয়েক হাজার কর্মী সমর্থক ও সাধারণ মানুষ খান এই কালীপূজোর ভোগ।এছাড়াও প্রতিবছরই লাফে লাফে বাড়তে থাকে এই প্রতিমার গহনার পরিমাণ।যেমন ২০১৮ সালের কালী প্রতিমার সোনার গয়না ছিল ১৮০ ভরি,২০১৯ সালে ২৬০ ভরি, ২০২০-তে ৩৬০ ভরি ও গত বছর অর্থাৎ২০২১ সালে সেই গয়নার পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ৫৭০ ভরিতে। যার বর্তমান বাজার মূল্য তিন কোটি টাকারও বেশি।গয়নার মত প্রতিবছর জাঁকজমকও বাড়তে থাকে এই কালীপুজোর।কালী পুজোর দিনে এই পুজোয় ভিড় জমান দলীয় নেতা মন্ত্রী ও কর্মী-সমর্থকরা।কিন্তু এ বছরের কালীপুজোর ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত ছিলেন সকলেই। কারণ তাদের “কেষ্টদা” বর্তমানে জেলে। তাই কালী পুজোতে থাকতে পারবেন না তিনি।তাহলে কে পরাবে প্রতিমাকে অলংকার?জাঁকজমকেরই বা কী হবে ?সাধারণ মানুষের প্রবেশ করতে পারবে কিনা?সেই দিকেই তাকিয়ে ছিল নেতা-মন্ত্রী ও কর্মীসমর্থকরা।আর তাই নিয়েই শুরু হয়েছিল জল্পনা।অবশেষে হলো সব জল্পনার অবসান।
বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি জানান,’আমরা আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিয়েছি প্রতিবছরের মতো এবছরও কালি পুজো হবে। ভোগও খাওয়ানো হবে।পুজোও হবে জাঁকজমকের সঙ্গে। তবে যে পরিমাণ অলংকার প্রতিবছর প্রতিমাকে পড়ানো হয় এবছর তা থাকবে।মাথার মুকুট,গলার হার,কানের দুল ও পায়ের নুপুর এগুলিই শুধু এবছর মাকে পরানো হবে এবং পুজোর সময় গহনা মাকে পড়াবেন পুরোহিত রেবতী রঞ্জন ব্যানার্জী ও তার সহকারী পুরোহিত।’এছাড়াও তিনি জানান,’এবছর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে জেলা কমিটির সদস্য ও শাখা সংগঠন মিলিয়ে মোট ১৫০ জন সদস্য আছে ,তাদের থেকে১০০০ টাকা করে চাঁদা সংগ্রহ করা হবে।১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা চাঁদা নিয়ে এবছরের এই পুজোর আয়োজন করা হবে।’সাধারণের প্রবেশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন ,’সাধারণের প্রবেশে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।তবে বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এটা প্রশাসনের ওপর ছেড়ে দিয়েছি।’