যে উৎসবের অপেক্ষায় সারাবছর দিন গুনতে থাকে আপামর বাঙালি, আজ নবমী নিশি পোহালেই সেই উৎসবের শেষ। মা দুর্গার মহাদেবের কাছে ফেরার তোড়জোড় শুরু হবে রাজ্যজুড়ে। নদী থেকে জলাশয়ে প্রতিমা নিরঞ্জনের এই রীতি যাতে সুষ্ঠু ভাবে হয়, তার জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিল প্রত্যেকটি পুরসভার।
প্রতিবছর গঙ্গার সবক’টি ঘাটের মধ্যে বেশি বিসর্জন হয় জাজেস ঘাট, বাজা কদমতলা ঘাট এবং নিমতলা ঘাটে। এবছর তিনটি ঘাটে মোট চারটি ক্রেন রাখা থাকবে। বাজা কদমতলা ঘাটে গঙ্গার জলে ভাসমান বার্জের উপর একটি ক্রেন থাকবে এবং পাড়েও একটি ক্রেন থাকবে। নিমতলা এবং জাজেস ঘাটে পাড়ের উপরে একটি করে ক্রেন থাকবে। করোনার দ্বিতীয় বর্ষেও সকল বিধিনিষেধ জারি রাখা হয়েছে। গঙ্গার জল যাতে দূষিত না হয়, তার দিকেও নজর রাখা হবে।
করোনার প্রথম বছর থেকে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের গাইডলাইন অনুসারে প্রতিমার গায়ের ফুল, মালা এবং পুজোর অন্যান্য সামগ্রী নদীর জলছবি ফেলা যাবে না। বিসর্জনের আগে গঙ্গার তীরেই একটি নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলা হবে। এই উদ্যোগের কারণে পুরসভার পর্যাপ্ত কর্মী, পুলিশ এবং পরিকাঠামো থাকবে গঙ্গার ঘাটগুলিতে। এমনকি যে জলাশয়গুলি রয়েছে, সেখানো যাতে নিরঞ্জন প্রক্রিয়ায় যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তার জন্যেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রাখা হবে বলে জানিয়েছেন পুরসভা কর্তৃপক্ষ।পুরসভার কর্তৃপক্ষের আশা, বিজয়া দশমীর দিনে শহরে বেশিরভাগ বিসর্জন হবে বাড়ির প্রতিমাই।