একটি কিংবা দুটি নয়। একেবারেই চার-চারটি বাঘরোল শাবক ও তিনটি পেঁচা শাবক উদ্ধার করে বনদফতরের হাতে তুলে দিলেন গ্রামের বাসিন্দারা। জানা গিয়েছে, ক্যানিংয়ের হাটপুকুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা আসমত মোল্লা সোমবার সকালে নিজের ঘর মেরামতির কাজ করছিলেন। সেই সময় তার নিজের গোয়াল ঘরের বাঘরোল শাবকের কান্নার শব্দ শুনতে পায়। গোয়াল ঘরে ঢুকতেই নজরে পড়ে চার চারটি বাঘরোল শাবক কাঁদছে। শাবক গুলো নিয়ে কি করবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না। পরে এলাকার বিশিষ্ট সমাজসেবী সিরাজ ঘরামী কে ঘটনার কথা জানায়। সমস্ত ঘটনা শুনে অতি তৎপরতায় উদ্যোগ গ্রহণ সিরাজ। তিনি বনদফতরের সাথে কথা বলেন। পরে শাবক গুলির করুনদশা দেখে নিজের হাতে মাতৃস্নেহে চারটি বাঘরোল শাবক কে দুধ খাইয়ে দেন। খাওয়ার পর শাবক গুলোর কান্না থামে। তাদের হাতে তুলে দেন। অন্যদিকে এদিন সকালে হাটপুকুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা সোহরাব ঘরামী। তার ঘর থেকে উদ্ধার হয় তিনটি পেঁচা শাবক।বনদফতরের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
বনদফতর সুত্রে জানা গিয়েছে পেঁচা ও বাঘরোল শাবক গুলো গ্রামবাসীদের মানবিক তৎপরতায় উদ্ধার হয়েছে। আপাতত পর্যবেক্ষনে রাখা হবে। পরবর্তী সময়ে শাবক গুলো কে নির্দিষ্ট স্থানে ছেড়ে দেওয়া হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

17 − ten =