মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুরের অন্যতম বিখ্যাত কালীপুজো হলো হরিশ্চন্দ্রপুর থানা পাড়া সার্বজনীন কালী মন্দিরের পূজো। যে পূজোতে সক্রিয় সহযোগিতা করে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। এই বছর তাদের কালী পূজোর থিম ভূত বাংলো। ইতিমধ্যেই যে থিম সারা ফেলে দিয়েছে সমগ্র এলাকা জুড়ে। এছাড়াও পূজো উপলক্ষে তারা বিভিন্ন সমাজ সেবামূলক কাজকর্ম করে থাকে। তার অঙ্গ হিসেবেই আজ বুধবার পুজো কমিটির পক্ষ থেকে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার সহযোগিতায় প্রায় দেড় হাজার দুস্থ মানুষের মধ্যে বস্ত্র বিতরণ করা হয়। এই বস্ত্র বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেন, জেলা পরিষদের শিশু নারী ও ত্রাণ কর্মাধক্ষ্যা মর্জিনা খাতুন, যুব তৃণমূল নেতা জিয়াউর রহমান, হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তবারক হোসেন চৌধুরী, পূজো কমিটির সম্পাদক সাগর দাস, হরিশ্চন্দ্রপুর থানা আইসি দেওদূত গজমের সহ অন্যান্যরা। আজ সন্ধ্যায় থাকছে নরনারায়ণ সেবা। যেখানে প্রায় দশ হাজার মানুষ এক সঙ্গে অন্য প্রসাদ গ্রহণ করবে। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশের এই উদ্যোগকে কুর্নিশ জানিয়েছেন মন্ত্রী তাজমুল হোসেন। আইসি দেওদুত গজমের সহ অন্যান্য পুলিশকর্তাদের প্রশংসা করেছেন তিনি। সাথে এই পুজোর থিমের কথাও শোনা গেছে মন্ত্রীর মুখে। মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বলেছেন পুলিশদের সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে যেতে হবে। সেই নির্দেশই যেন পালন করছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার বলেছে। তাদের উদ্যোগে কালী পূজার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মিশে যাচ্ছে এলাকার সর্বস্তরের মানুষ। ফুটে উঠছে সম্প্রীতির এক অনন্য চিত্র।
প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেন বলেন, আজ হরিশ্চন্দ্রপুর থানার উদ্যোগে বস্ত্র বিতরণ ছিল। আমরা সকলে এসেছিলাম। পুলিশের এই উদ্যোগ সত্যি প্রশংসনীয়। এই বছর পুজোর থিমও খুব চমৎকার হয়েছে। প্রচুর মানুষ দেখতে আসছে।
হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকার বিভিন্ন দুর্গাপূজা রীতিমতো সংবাদে শিরোনামে এসেছিল। তবে কালীপূজোতেও পিছিয়ে নেই এই এলাকা। বড় পূজো দেখার জন্য এলাকাবাসীর আর দরকার নেই শহরে যাওয়ার।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

17 + eight =