শনিবার রাত আনুমানিক ৮টা নাগাদ উত্তর ত্রিপুরা জেলার কদমতলা থানা এলাকার সপ্তম শ্রেণীতে পড়ুয়া ১৪ বছরের এক নাবালিকা মেয়ে পাশের বাড়ির বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার সময় তাকে বলপূর্বক ভাবে মুখ বেঁধে তুলে নিয়ে কুর্তি মাদ্রাসার নবনির্মিত হোস্টেলে একাধিকবার গনধর্ষণ করার অভিযোগ উঠে আসে ইমরান হোসেন ও ১৬ বছরের এক নাবালকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তদের বাড়ি – উত্তর জেলা কদমতলা থানার অধীন কুর্তি গ্রাম পঞ্চায়েতের তিন নম্বর ওয়ার্ডের ঢেউবাড়ি এলাকায়।পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ অভিযুক্ত গনধর্ষণকারী ইমরান হোসেনকে গ্রেফতার করলে ও অপর অভিযুক্ত ১৬ বছরের নাবালক পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। নির্যাতিতার মা জানান,তার স্বামী কর্মসূত্রে বহিঃরাজ্যের ডিমাপুরে থাকেন। তাই বাড়িতে ছেলে-মেয়েকে নিয়ে তিনি একাই থাকেন। ওইদিন রাতে নিকট আত্মীয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে যাবার পথে তার ১৪ বছরের নাবালিকা মেয়েকে তুলে নিয়ে তার উপর দুই থেকে আড়াই ঘন্টা পাশবিক অত্যাচার চালানো হয়। পরে উনার মেয়ে বাড়ি ফিরে উনাকে সবকিছু খুলে বললে তিনি থানার দারস্থ হয়ে অভিযুক্ত ধর্ষণকারীদের নাম দিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এদিকে, অভিযুক্ত গন ধর্ষনকারীরা নাবালিকা মেয়েটিকে ভয় দেখিয়ে বলে যদি সে এই ঘটনা কাউকে জানায় তাহলে সামাজিক মাধ্যমে সবকিছু ছেড়ে দেবে। গোটা ঘটনায় সুষ্ঠ বিচারের আর্জি জানিয়েছেন নির্যাতিতা নাবালিকা মেয়েটির অসহায় মা। স্হানীয় এক ব্যক্তি জানান,তিনি নাবালিকা মেয়েটির কান্না শুনে বেরিয়ে আসলে নির্যাতিতা মেয়েটি ও তার মা গোটা ঘটনাটি জানালে গ্রামবাসী মিলে ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত ধর্ষণকারী ইমরান হোসেনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। সাথে অপর অভিযুক্ত ১৬ বছরের নাবালক পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। তিনি জানান,এই ঘটনাটি মীমাংসার জন্য কদমতলা কুর্তি বিধানসভা কেন্দ্রের সিপিআই (এম) দলের বিধায়ক ইসলাম উদ্দিন ফোন করে অনুরোধও করেছেন বলে উনার দাবি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

7 + four =