খবরের সন্ধানে যে মানুষটা এক সময় শহর থেকে গ্রাম সর্বত্র সাধারণ মানুষের কাছে ছুটে যেত। মানুষের দুঃখ, দুর্দশা সমস্ত কিছুই ফুটে উঠতো তার খবরে। তিনি মালবাজারের বর্শিয়ান সাংবাদিক অমিতাভ ভট্টাচার্য। তিনি দীর্ঘদিন বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সাংবাদিকতায় দীর্ঘ ২৩ বছর অতিক্রান্ত করা প্রবীণ সাংবাদিক অমিতাভ ভট্টাচার্য সোমবার রাত ২:৪৫ মিনিটে প্রয়াত হলেন মালবাজার শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। গত কয়েক মাস থেকে দুরারোগ্য ব্যাধিতে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই চালাচ্ছিলেন। মাল শহরের ১০ নং ওয়ার্ডের ডাঃ এস কে দত্ত সরণীতে স্ত্রীকে নিয়ে বাস করতেন শহরের এই সাংবাদিক দম্পতি। ব্রেন টিউমারের আক্রান্ত হওয়ায় তাকে দিল্লির এইমস হাসপাতালেও চিকিৎসা করিয়েছিলেন তার স্ত্রী শম্পা ভট্টাচার্য। বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা করিয়েও কোন লাভ হল না। অবশেষে সোমবার গভীর রাতে প্রবীন এই সাংবাদিকের জীবনবসান হয়। তিনি রেখে গেলেন তাঁর স্ত্রী ও কন্যাকে। মঙ্গলবার দুপুরে মাল নদীর শ্মশান ঘাটেই তাঁর পারোলৌকিক কাজ সম্পন্ন করা হয়।বর্ষিয়ান সাংবাদিক অমিতাভ ভট্টাচার্যের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ জলপাইগুড়ি জেলার সাংবাদিক মহল। পাশাপাশি সুখের ছায়া নেমে এসেছে সমগ্র মাল বাজারে। তাঁর শেষ যাত্রার সঙ্গী হলেন অগণিত মানুষ ও সাংবাদিকরা।