দূর্গা পূজার রেশ কাটতে না কাটতেই বাঙালীর মেতেছেন লক্ষী পূজায়। আজ কোজাগরী লক্ষ্মী পূজা। ১৮ ভূজা বিশিষ্ট দেবী মহা লক্ষ্মী। কোজাগরী লক্ষ্মী পূর্ণিমা তিথিতে পুজিত হন দেবী। কিন্তু এই দেবী একই দিনে দুই রূপে পুজিত হয়ে আসছেন ২০ বছর ধরে। সকালে মহা লক্ষ্মী রূপে এবং রাতে কোজাগরী লক্ষ্মী রূপে।মালদহের বামনগোলা ব্লকের গাংগুরিয়া সারদা তীর্থ আশ্রমে পুজিত হয়ে আসছেন এই মহা লক্ষ্মী। স্বামী গ্রীজাআত্মানন্দ মহারাজ ১৯৯৮ সালে এই আশ্রমটির প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০২ সাল থেকে তিনি ১৮ টি হাত বিশিষ্ট মহালক্ষ্মী পুজোর সূচনা করেন। তবে দেবী এখানে, সকালে এক রূপে এবং রাতে একরূপে পুজিত হয়ে আসছেন সেই থেকেই। এই পুজো দেখার জন্য বিভিন্ন দূর-দূরান্ত থেকে ভক্তদের ঢল নামে এই আশ্রম। আজ রাতে কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো হবে পূর্ণিমার তিথিতে দেবীর সকালে মহালক্ষী রূপে পূজিত হয়েছে এবং রাতে কোজাগরী রূপে তিনি পূজিত হবেন। এই পুজো গোটা পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে একমাত্র মালদহের বামনগোলা ব্লকের গাংগুরিয়া আশ্রমী এই আঠারোটি হাতের মহা লক্ষ্মী পুজো হয়ে আসছে। মহা লক্ষ্মীর পূজার সময় চণ্ডীপাঠ করা হয় এই পুজোর ঘট স্থাপনের জন্য পাকুর, অশ্বত্থ, আম, বট ও অশোক গাছের পল্লব দেওয়া হয়। এই পুজোয় নৈবেদ্য ছাড়াও দেওয়া হয় অন্নভোগ যজ্ঞে জন্য দেওয়া হয় ১০৮ টি বেলপাতা এই পুজো শুরু করার উদ্দেশ্য অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটিয়ে শুভশক্তির প্রতিষ্ঠাতা। এই আশ্রম টি মালদা শহর থেকে প্রায় ৫০ কিমি দূরে রয়েছে।