বাঁকুড়া রানীগঞ্জ ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর গাইঘাটা সেতু। যে সেতুর হাল গত দুই দশক ধরে বেহাল হয়ে রয়েছে। সেই বেহাল সেতু নতুন করে নির্মাণের উদ্যোগ নেয় জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে সেই ভগ্ন দশা সেতুর পাশেই নতুন সেতু নির্মাণের নির্মাণ কাজ শুরু করেছিল জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। এক বছর নির্মাণ কার্যের পর জমি জটে আটকে পড়ে সেতু নির্মাণের কাজ। তারপর এই তিন বছরে গাইঘাটা জোড়ের উপর বয়ে গেছে বহু জল। তবুও কাটেনি জমিজট। বারংবার প্রশাসনের হস্তক্ষেপও আটকে গিয়েছে সেতু নির্মাণের কাজ। অবশেষে তিন বছর পর স্থানীয় ব্লক ও জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সেই জমি জট কাটিয়ে পুনরায় চালু হবে অর্ধ নির্মিত সেই সেতু নির্মাণের কাজ। সেই মোতাবেক স্থানীয়দের সঠিক ন্যায্য ক্ষতিপূরণ দিয়ে গত কয়েক মাস ধরে শুরু হয় জমি অধিগ্রহণের কাজ। জাতীয় সড়কের দু ধারে থাকা জাতীয় সড়কের অধিকৃত জমি ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় তারাপুর গ্রামের অধিকাংশ বাসিন্দাদের। স্থানীয় গ্রামের বাসিন্দারা সরকারি নির্দেশে বেশিরভাগই গ্রামবাসী ছেড়ে দিলেও বেশ কিছু পাকা বাড়ি এখনো রয়ে গিয়েছিল জাতীয় সড়কের ধারে। অবশেষ ে পুলিশ প্রশাসনকে সাথে নিয়ে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ ওই সমস্ত বাড়ি সাত সকাল থেকেই ভাঙতে শুরু করে। ঘটনার স্থলে উপস্থিত হন ব্লক জেলা ও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের একাধিক আধিকারিক। জেসিপি দিয়ে ভেঙ্গে গুড়িয়ে ফেলা হয় একের পর এক পাকা বাড়ি। এই জমি অধিগ্রহণ এখনো পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের দাবি খুব শিগগিরই এই সেতু মেরামতের কাজ সম্পন্ন হবে।