গ্রামে ঘটনার কথা পৌঁছতেই শোকের আবহ তৈরী হয়।পরিবার সূত্রে জানা গেছে,মৃতের নাম নুরবানু বিবি(৩৭)বাপের বাড়ি মালদহের চাঁচল ১ ব্লকের ডমাবীর গ্রামে। চাঁচলের ভগবতীপুরে বিয়ে হলেও গত প্রায় তিন বছর যাবৎ স্বামীর সাথে যোগাযোগ নেই।তিনবছর ধরে বাপের বাড়িতেই কুড়েঘর নির্মাণ করে দুই নাবালক পুত্র সন্তান নিয়ে জীবনযাপণ শুরু করেছিল।নুরবানু নিজের গ্রামে শ্রমিকের কাজ করে সন্তানদের লেখাপড়া চালিয়ে সংসার চালাত।লকডাউনের সময় অভাবের থাবা চওড়া হয় পরিবারে।এদিকে জবকার্ড থাকায় এলাকায় মাটি কাটা কাজ করেও সংসার চালাতেন নুরবানু।মাটি কাটা কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এলাকারই শ্রমিকদের সহযোগিতায় ভিনরাজ্যে কাজে যেতে শুরু করে নুরবানু।গত দুমাস আগে দাদন চুক্তিতে সিকেন্দ্রাবাদে নির্মাণ শ্রমিকের কাজে যান দুই সন্তান রেখে।সেখানে শ্রমিকদের জন্য রান্নার কাজ জুটেছিল নুরবানুর।তবে গতকাল মঙ্গলবার দুর্ঘটনা জনিত কারনে ওই এলাকায় একটি রাস্তায় পড়েছিল নুরবানু।স্থানীয় পুলিশ দেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।এমনটাই জানানো হয়েছিল নুরবানুর মা আরজান বেওয়াকে।ঘটনার খবর গ্রামে আসতেই কান্নায় ভেঙে পড়ে মা আরজান বেওয়া।শুক্রবার ঠিকাদারের উদ্যোগে অ্যাম্বুলেন্সে দেহ ডমাবীরের বাড়িতে পৌঁছেছে এবং কবরস্থ করা হয়েছে।নুরবানু মৃত্যুতে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে তার বৃদ্ধা মা আরজান বেওয়ার।দুই নাতির ভরণপোষণ চালাবে আরজান বলে জানিয়েজেন।তবে সরকারি সাহায্য পেলে হয়তো নাবালক ছেলে দুটির ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত হবে বলে জানাচ্ছেন আরজান বেওয়া।স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য তফজ্জল হোসেন বিডিও কাছে ওই নাবালক ছেলেদুঠির জন্য সাহায্যের দরবার করবেন বলে জানিয়েছেন।