রাজনীতি মানেই ‘রাজার নীতি’।তবে বর্তমানে দেখা যাচ্ছে শাসক দল হোক বা বিরোধী দলই হোক,সর্বত্রই দলীয় নেতৃত্বের নীতি, বলা ভালো নির্দেশের বিরূপ আচরণ করছে।যার জেরেই কোথাও কোথাও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বও দেখা যাচ্ছে।কখনো দলের নেতৃত্বরাই দলের বিরোধীতা করে বিস্ফোরক মন্ত‍ব‍্য উগড়ে দিচ্ছেন।

উত্তর ২৪ পরগণার অন্তর্গত বিজপুর অঞ্চলে বিরোধী শূন‍্য তৃণমূল।বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে হারিয়ে তৃণমূল বিরোধীশূন‍্য আধিপত‍্য স্থাপন করেছে।তবে সময়ে সময়ে দলের মধ‍্যেই মতবিরোধ দেখা দিয়েছে।সম্প্রতি ব‍্যারাকপুরের সাংসদ ও জগদ্দলের বিধায়কের মধ‍্যে রাজনৈতিক মতবিরোধ থাকলেও যেকোনো দলীয় কর্মসূচি বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সমস্ত ক্ষেত্রেই তাদের দুজনকেই এক মঞ্চে দেখা গেছে।দলের সিদ্ধান্তে সকলেই এক মত।সেই দলের প্রতি আনুগত্য তার চিত্র দেখা গেল বীজপুর অঞ্চলজুড়ে।

ঐক‍্যবদ্ধভাবেই সকলে মিলে বিজপুরের কল‍্যাণে ও উন্নয়নে কাজ করে চলেছে।মুখ‍্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক ব‍্যানার্জীর সিদ্ধান্তকেই সর্বদা প্রাধান‍্য দিয়ে এসেছে হালিশহর,কাঁচরাপাড়া সহ গোটা বিজপুর অঞ্চলের তৃণমূল নেতৃত্ব থেকে কর্মী সমর্থকেরা।বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসবের বিজয়া সম্মিলনীতে মনোমালিন্যকে দূরে সরিয়ে রেখে সকল তৃণমূল নেতৃত্ব থেকে শুরু করে কর্মী সমর্থকেরা একত্রিত হয়েই উৎসব পালন করেছে।হালিশহর শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি প্রবীর সরকার জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ও অভিষেক ব্যানার্জীর সিদ্ধান্তকেই দলের সর্বশেষ সিদ্ধান্ত হিসেবেই মানা হবে। পাশাপাশি এও জানান, দুর্নীতির সঙ্গে কখনো তৃণমূল আপোষ করেনি এবং ভবিষ্যতেও আপোষ করবে না। দোষীরা দোষ করলে অবশ্যই শাস্তি পাবে। সবটা মিলিয়ে বলা ভালো, যতই মনোমালিন্য গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থাকুক না কেন তৃণমূল সর্বদা দলের নেত্রীর সিদ্ধান্তকেই মান্যতা দিয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

four + sixteen =