বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই ঘটনায় মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। চিকিৎসককে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে বহরমপুর থানার পুলিশ।গত তিন মাসে পাঁচবার চিকিৎসক নিগ্রহের ঘটনায় ধিক্কার জানাল ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন।বৃহস্পতিবার দুপুরে হরিহরপাড়ার এক ব্যক্তিকে পেটে ব্যাথা নিয়ে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। হরিহরপাড়ার ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালের এমার্জেন্সি বিভাগের চিকিৎসকরা দেখে ভর্তির ব্যবস্থা করেন।এরপর ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালের তিনতলা ‘মেল মেডিসিন’ বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ওই রোগীর পেট ব্যাথা বাড়লে এক জুনিয়র চিকিৎসককে রোগী দেখতে বলা হয়। ওই জুনিয়র চিকিৎসক অন্য রুগী দেখছিলেন। রোগী দেখার জোর খাটাতেই ওই জুনিয়র চিকিৎসকের সঙ্গে তর্কাতর্কি শুরু হয়ে যায় রোগীর আত্মীয়র।এরপরেই হঠাৎ করে ওই রোগীর এক আত্মীয় ওই জুনিয়র চিকিৎসককে মারধর করতে শুরু করেন বলে অভিযোগ। চিৎকার চেঁচামেচি শুনে নিরাপত্তা রক্ষীরা ছুটে এসে অভিযুক্ত যুবককে ধরে ফেলে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।মুখে হাতে আঘাত পেয়ে ওই জুনিয়র চিকিৎসককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে গভীর দুঃখ প্রকাশ করে ডাঃ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, হাসপাতালে তিনতলায় এক ‘ইন্ট্রান’ ডিউটি করার সময় রোগীর আত্মীয়র কাছে প্রহৃত হয়েছেন। বিষয়টি কোনভাবেই মানা যায় না। কিছুদিন আগে বহরমপুরে নিজের দপ্তরে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক মার খেয়েছেন। গত তিন মাসে পাঁচবার চিকিৎসকরা আক্রান্ত হয়েছেন মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। ফলে চিকিৎসকদের নিরাপত্তার প্রশ্ন উঠেছে। ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিরাপত্তার দাবি তুলেছেন, ওই হাসপাতালের মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ রঞ্জন ভট্টাচার্য।অন্যদিকে ওই জুনিয়র চিকিৎসককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর মুখে আঘাত লেগেছে। একটি আঙ্গুল ভেঙে গেছে বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে, ওই চিকিৎসককে মারধরের ঘটনায় হরিহরপাড়ার রুবেথ মন্ডল নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে বহরমপুর থানার পুলিশ। অন্যদিকে হাসপাতাল অধ্যক্ষ ডাঃ অমিত দাঁ বলেন, হাসপাতালে নিরাপত্তারক্ষীর অভাব রয়েছে সেকথা সত্যি।সে কারণে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরকে আবেদন করা হয়েছে।আরো ৪৫-৫০ জন নিরাপত্তারক্ষী দরকার মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। তবে ওই ইন্টার্নকে মারধর করার ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান অধ্যক্ষ।