দীর্ঘ ২০ দিনের লড়াই শেষ।বারবার মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছিলেন ঐন্দ্রিলা।আর তাই ঐন্দ্রিলার বেঁচে থাকার লড়াইটাকে প্রত্যেকটা মানুষ যেন নিজের যুদ্ধ মনে করেই একটা বিশ্বাসকে আঁকড়ে ধরেছিল।সংবাদমাধ্যম থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় সর্বত্রই ঐন্দ্রিলার বেঁচে থাকার লড়াই। কিন্তু সব বিশ্বাসকে মিথ্যে করে চলে গেলেন বছর ২৪ -এর মেয়েটি।মিরাকেল হতে গিয়েও যেন হলোনা।গত ২ নভেম্বর ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে সংকটজনক ঐন্দ্রিলা ভর্তি হন হাসপাতালে।দু-বার ক্যানসার জয়ী অভিনেত্রী ফের হাসিমুখে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে যেন মানুষের মনে এই বিশ্বাস গেঁথে দিয়েছিলেন ঐন্দ্রিলাকে এত সহজে ছুঁতে পারবে না মৃত্যু।সময় পেরিয়েছে.. ঐন্দ্রিলার লড়াই চলেছে হাসপাতালের বিছানায়। আর তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে সমানভাবে লড়াই করেছে তার পরিবার আর তার মনের মানুষ সব্যসাচী চৌধুরী।নাওয়া-খাওয়া ভুলে ঐন্দ্রিলার সাথে আরো একটা মানুষও যেন মৃত্যুর সাথে লড়াই করছিলো।মানুষটা ঐন্দ্রিলার মনের মানুষ তথা প্রেমিক সব্যসাচী চৌধুরী।নিজে ভেঙে গিয়েও যেন ঐন্দ্রিলাকে ভাঙতে দেন নি। সবসময় মনে সাহস জুগিয়েছেন।
গতকালই ফেসবুকে নিজের প্রোফাইলে ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে করা সমস্ত পোস্ট ডিলিট করে দেন তিনি।ভয় পেয়েছিলো সকলেই।তবে কি?সেই রাতেই ঐন্দ্রিলার ১০ বার হার্ট অ্যাটাক।তারপরেও যেন তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল ছিল।কিন্তু আজ দুপুরেই সব শেষ। চিকিৎসা ব্যবস্থা,প্রার্থনা সব কিছুকে মিথ্যে করে ২০ দিনের লড়াই শেষে চলে গেলেন তিনি।নাকি অনিচ্ছা করেই চলে যেতে হল তরুণী নায়িকাকে?মনের শক্তি ছিল বলেই হয়তো হাজারও শারীরিক কষ্টকে হারিয়ে ফিরতে চেয়েছিলো সে।বাঁচতে চেয়েছিলো ও।
তবে ইহলোকে আমাদের মাঝে না থাকলেও ঐন্দ্রিলা থেকে যাবে ক্যামেরার ফ্রেমে,পুরনো ছবিতে,বাঁচার অদম্য শক্তির অপর নাম হয়ে।সিনেমায় নয় বাস্তবেই ওয়ান্ডার উইম্যান হয়ে থেকে যাবে ঐন্দ্রিলা।