গৃহস্থের পুকুরে বিশাল দৈর্ঘ্যের কুমির,আতঙ্কিত পাথরপ্রতিমা।

গৃহস্থের পুকুরে বিশাল দৈর্ঘ্যের কুমির,আতঙ্কিত পাথরপ্রতিমা।

দু’দিন আগেই গেছে বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় যশ।যশের প্রভাব পড়েছে পশ্চিমবঙ্গের গাঙ্গেয় উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে। ঘূর্ণিঝড়ের পাশাপাশি ভরা কোটালে সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় দক্ষিণবঙ্গের একাধিক এলাকা প্লাবিত হয়েছে।বিভিন্ন জায়গা এখনও জলমগ্ন।জলমগ্ন এলাকাগুলিতে ভয় রয়েছে সাপখোপের।শুক্রবার হাওড়ার বেলুড়ের শান্তিনিকেতনের নর্দমায় পাওয়া গিয়েছিল একটি ১১ ফুট লম্বা চন্দ্রবোড়া সাপ। স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এলাকাবাসী। পরবর্তীতে বনদপ্তরে খবর দেওয়া হলে বনদপ্তর আধিকারিকরা সাপটিকে উদ্ধার করে।
এমনই ঘটনা ঘটলো পাথরপ্রতিমাতে।এবার সাপখোপ নয়, পাথরপ্রতিমার লোকালয়ে ঢুকে পড়ল কুমির।ভরা কোটালে জলোচ্ছ্বাসের ফলে নদী থেকে ওই কুমিরটি লোকালয়ে চলে আসে বলে প্রাথমিক সূত্রে খবর।পাথরপ্রতিমার ব্রজবল্লভপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গোবিন্দপুর আবাদের ঘটনা।নদী এবং লোকালয়ে জলস্তর এক হয়ে যাওয়ায় নদী থেকে কুমির ঢুকে পড়ে গ্রামে।ভাটার সময় জল নেমে গেলে এলাকার বাসিন্দা বিষ্ণু দাসের পুকুরে একটি কুমির ভেসে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা।এই ঘটনায় গোটা গ্রামে চাঞ্চল্য ছড়ায়। খবর দেওয়া হয় বনদপ্তরের রামগঙ্গা রেঞ্জ অফিসে।খবর পেয়েই বনকর্মীরা বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় কুমিরটিকে পুকুর থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যান।সেই উদ্ধার কাজ দেখতে পুকুরের পাড়ে ভিড় জমিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা।বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া স্ত্রী কুমিরটির দৈর্ঘ্য প্রায় সাড়ে ৯ ফুট।তাকে উদ্ধার করার পর ভালো করে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন পশু চিকিৎসকেরা। কুমিরটি পুরোপুরি সুস্থ থাকায় তাকে লোথিয়ান দ্বীপ ওয়াইল্ডলাইফ স্যাংচুয়ারিতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।তবে এলাকায় আরও কুমির ঢুকে পড়ার আশঙ্কা থাকায় আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন বাসিন্দারা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

8 − four =