২৭ দিনের লড়াই শেষে, লতা ঘুমের দেশে
২৭ দিনের লড়াই শেষে, লতা ঘুমের দেশে।প্রয়াত লতা মঙ্গেশকর। কাজে এলো না চিকিৎসকদের লড়াই। সরস্বতী বন্দনার মধ্যেই সকলের চোখ ভিজিয়ে বিদায় নিলেন ‘সুরের সরস্বতী’। চার সপ্তাহ আগে থেকেই শারীরিক অবস্থার অবনতি শুরু হয়। ভর্তি করা হয় মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে। অবস্থার উন্নতি হতে শুরু হলেও,রবিবার আচমকাই চিরতরে বিদায় নিলেন সুর সম্রাজ্ঞী। ১৯২৯ সালের ২৮ শে সেপ্টেম্বর ইন্দোর এর একটি মারাঠি পরিবার জন্ম হয় লতার। এরপর বাবার হাত ধরেই গানে হাতে খড়ি ছোট্ট লতার। ১৩ বছর বয়সে প্রথম একটি মারাঠি ছবিতে গান করার সুযোগ পান। এর পর আর পিছনে ফিরতে হয়নি তাকে। সত্তর বছরের বেশি সময় ধরে প্রায় ত্রিশ হাজারের বেশি গান করেছেন। যাতে মুগ্ধ হয়েছে একের পর এক প্রজন্ম। গানের ঝুলির সাথে সাথে ভরাট হয়েছে তার পুরস্কারের ঝুঁকিও। ‘পদ্মভূষণ, ‘পদ্মবিভূষণ’ এর সাথে সাথে আছে দাদা সাহেব ফালকের মত পুরস্কারও।
যুগান্তকারী লতা মঙ্গেশকর আজ প্রয়াত। শোকের ছায়া নেমে এসেছে সারা দেশ জুড়ে। ৯২ বছর বয়সে প্রয়াত হলেও, মানুষের মনে তিনি থাকবেন চিরদিনের মতো। তার সৃষ্টি শিল্প তাকে অমর করে রাখবে চিরকালের মতো। লতা মঙ্গেশকর এর কথা এলেই বারবার মনে পড়বে রবীন্দ্রনাথের বলা সেই কথা ‘তোমার কীর্তির চেয়ে তুমি যে মহৎ’।