স্মার্টফোনে একাধিক প্রমাণপত্র নিয়ে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধর্নায় যুবতী।ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নম্বর ব্লকের কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের রানিপুরা গ্রামে।এই নিয়ে এদিন রানিপুরা গ্রামে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। জানা যায়,রানিপুরা গ্রামের বাসিন্দা নাহিদ হোসেনের ছেলে মহম্মদ নিহাল পারভেজ এর সঙ্গে দীর্ঘ তিন বছর আগে ফেসবুকের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ওই যুবতীর।এতদিন ধরে একসাথে সময় কাটানো,পার্কে ঘুরতে যাওয়া,রেস্টুরেন্ট ও হোটেলে একসঙ্গে খাওয়া দাওয়া, সিনেমা জগতের নায়ক নায়িকার মত হাতে হাত রেখে জীবন সঙ্গীনি করার শর্ত। এদিন সব ঠিক ঠাকই ছিল।কিন্তু ছেলের মনের কথা প্রেমিকা ঘুনাক্ষরেও বুঝতে পারেনি।ছেলে বিয়ে করব করব করে বিভিন্ন অজুহাতে দিন কাটাচ্ছিলেন।এখন ছেলে সরাসরি বিয়ে করতে অস্বীকার করছে।তাই বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়ির সামনে পুকুর পাড়ে এদিন ধর্নায় বসে যুবতী।
ধর্নায় বসা যুবতী জানান,দীর্ঘ তিন বছর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিহাল পারভেজ এর সঙ্গে তার পরিচয় হয়।একপর্যাযে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।বিয়ের প্রলোভনে তার সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করেন বলে দাবি যুবতীর।পরে বিয়ের কথা বললে ওই যুবতীর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন নিহাল।তাদের প্রেমের সম্পর্ক ছেলের পরিবার সবকিছুই জানেন।এখন সবাই অস্বিকার করছে।এজন্য বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধর্নায় বসেন যুবতী।
প্রেমিক নিহাল পারভেজ এর বাবা নাহিদ হোসেন জানান, তাদের প্রেমের সম্পর্ক তিনি কিছুই জানেন না।তার ছেলে নাবালক।নাবালক ছেলেকে তিনি বিয়ে দিতে পারেন না।এর পূর্বেও মেয়েটি বিয়ের দাবিতে তার বাড়িতে এসেছিল এবং হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় তাদের নামে মামলা করে।কোর্ট থেকে জামিন নিতে হয়। ছেলে বর্তমানে দিল্লিতে রয়েছে।মেয়ের সঙ্গে ছেলের আর কোনো কথা নেই।মিথ্যা দাবি করে ধর্নায় বসেছে যুবতী।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।যুবতী ও ছেলের বাবাকে থানায় নিয়ে যান বলে খবর।