শনিবার ধৃত বিক্রম ভগৎ কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মহকুমা আদালতে পেশ করে মালদহের চাঁচোল থানার পুলিশ।এদিন চাঁচল থানা থেকে মহকুমা আদালতে নিয়ে যাবার পথে ধৃত যুবক বিক্রম ভগৎ সাংবাদিকদের ক্যামেরার সামনে তন্ত্রসাধনা নিয়ে মুখ খুললেও তন্ত্রসাধনার জেরেই কি নাবালিকা খুন সেই প্রশ্নের কোন উত্তর তিনি দেননি। ধৃত যুবক বিক্রম ভগৎ বলেন, বাবার কাছ থেকে আমার তন্ত্র সাধনার শিক্ষা। আমিও তন্ত্র সাধনা করতাম। কিন্তু তন্ত্রসাধনার জেরে কি নাবালিকা খুন সেই প্রশ্নের তিনি কোন উত্তর দেননি। সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি আরো বলেন, সেই দিন আমি মদ্যপ অবস্থায় ছিলাম। আমি ওই বালিকাকেকে চিনি, ও আমার গ্রামের মেয়ে। নাবালিকাকে কারা খুন করল সেই প্রশ্নের কোন উত্তর সে দেয়নি।
উল্লেখ , গত বুধবার রাতে মালদহের চাঁচল থানার গৌরহণ্ড গ্রামে পুকুর পাড় থেকে নাবালিকার নলি কাটা দেহ উদ্ধার কে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। ঘটনায় প্রতিবেশী অভিযুক্ত যুবক বিক্রম ভগত কে আটক করে ব্যাপক মারধর করে গ্রামবাসীরা। পুলিশ ওই যুবককে জখম অবস্থায় চাঁচল সুপার স্পেশাল্যাটি হাসপাতালে ভর্তি করে। নাবালিকা খুনে সামনে এসেছিল তন্ত্রসাধনার যোগ। অভিযুক্ত যুবক বিক্রম ভগৎ নাকি তন্ত্র সাধনা করতেন। তন্ত্রসাধনার কারণেই নাকি ওই নাবালিকাকে খুন করা হয়েছে দাবি মৃতার পরিবার থেকে শুরু করে প্রতিবেশীদের। ওই অভিযুক্ত যুবক সুস্থ হওয়ায় পর হাসপাতাল থেকে থানায় আনার পর যুবককে গ্রেফতার করে চাঁচল থানার পুলিশ।পুলিশ জানিয়েছে ধৃত যুবকের নাম বিক্রম ভগত(১৮)মৃত ওই বালিকার পাশেই ঢিল ছোড়া দুরত্বে তার বাড়ি। শনিবার ধৃতকে দশ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন চেয়ে চাঁচল মহকুমা আদালতে পেশ করেছে পুলিশ।এদিন আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথে সাংবাদিকদের ক্যামেরায় খুনের কথা স্বীকার করেননি বিক্রম।যদিও তিনি বলেন,বাবার হাত ধরেই তন্ত্র সাধনার কাজ শিখেছিলাম।তবে তিনি বলেন,সেদিন তিনি মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। জিত যুবক বিক্রম ভগত কে গ্রেফতার করে দশ দিনের পুলিশের রিমান্ডের আবেদন চেয়ে চাঁচোল মহকুমা আদালতে পেশ করেন।