মোদির নতুন সংসারে কারা থাকছেন,বাদ পড়লেন কারা,দেখে নিন এক নজরে।
বুধবার রাতে নয়া দিল্লিতে মন্ত্রী সভা গঠিত হল। নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ঠিক হয় গেল কে কোন মন্ত্রক পেতে চলেছেন।মোদির নতুন সংসারে দেখা গেল বেশ কিছু নতুন মুখ।যদিও বাদ পড়েছেন বেশ কয়েকজন পুরোনো। মন্ত্রীও।বুধবার রাতে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ঘোষণা করা হয়, নতুন মন্ত্রক বণ্টনের তালিকা।
দেখে নিন কে পেল কোন মন্ত্রক-
সমবায় মন্ত্রী (নয়া অতিরিক্ত মন্ত্রক)- অমিত শাহ(স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী)
বস্ত্র, বাণিজ্য এবং খাদ্য মন্ত্রী- পীযূষ গোয়েল
নারী এবং শিশুকল্যাণ মন্ত্রী- স্মৃতি ইরানি
স্বাস্থ্য এবং রাসায়নিক সার মন্ত্রী- মনসুখ মাণ্ডব্য
তথ্য এবং সম্প্রচার,যুবকল্যাণ ও ক্রীড়ামন্ত্রী- অনুরাগ ঠাকুর
রেল এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী- অশ্বিনী বৈষ্ণব
শিক্ষা এবং কারগরি মন্ত্রী- ধর্মেন্দ্র প্রধান
পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী- হরদীপ সিং পুরী
অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী- জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া
দুগ্ধ এবং মৎস মন্ত্রী- পুরুষোত্তম রুপালা
গ্রামোন্নয়ন এবং পঞ্চায়েত মন্ত্রী- গিরিরাজ সিং
খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রী- পশুপতি পারস
শ্রমমন্ত্রী, পরিবেশ মন্ত্রী – ভূপেন্দ্র যাদব
আইনমন্ত্রী- কিরেন রিজিজু
সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রী- জি কিষাণ রেড্ডি
সংসদীয় বিষয়ক, কয়লা এবং খনি মন্ত্রী- প্রহ্লাদ যোশী
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প মন্ত্রী- নারায়ণ টাটু রাণে
ইস্পাত মন্ত্রী- রামচন্দ্র প্রসাদ সিং
ভারী শিল্প মন্ত্রী- মহেন্দ্র নাথ পাণ্ডে
বন্দর, জাহাজ, জলপরিবহন মন্ত্রী- সর্বানন্দ সোনোয়াল।
এই মন্ত্রকগুলি বাদে প্রতিরক্ষা, অর্থ বা সড়ক পরিবহন মন্ত্রীর দায়িত্ব আগের মতোই সামলাবেন রাজনাথ সিং, নির্মলা সীতারমণ ও নীতীন গড়করি।কৃষি ও বিদেশ মন্ত্রকের দায়িত্বও আগের মন্ত্রীদের হাতেই রাখা হয়েছে।
তবে মোদির মন্ত্রীসভায় বাংলার মুখ-
স্বরাষ্ট্র, যুবকল্যাণ ও ক্রীড়া দফতরের প্রতিমন্ত্রী- নিশীথ প্রামাণিক
শিক্ষা মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী- সুভাষ সরকার
বন্দর, জাহাজ, জলপরিবহন মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী- শান্তনু ঠাকুর
সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী- জন বার্লা
যদিও এই মন্ত্রীসভা গঠনের মাঝেই মন্ত্রীসভা থেকে বাদ পড়লেন বাবুল সুপ্রিয়,দেবশ্রী চৌধুরী সহ অনেকেই।মন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তারা।যদিও তারা জানিয়েছেন, তাদের বলা হয়েছিল ইস্তফা দিতে।একই সঙ্গে মন্ত্রীপদ না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সৌমিত্র খাঁ।এক্ষেত্রে ফেসবুক পোষ্টের মাধ্যমে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর প্রতি ক্ষোভও উগরে দিয়েছেন সৌমিত্র।বিজেপির যুব মোর্চার রাজ্য-সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে মন্ত্রীপদ না পাওয়ার ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন সৌমিত্র। যদিও ইস্তফা দেওয়ার পাঁচ ঘণ্টার মধ্যেই তিনি আবার ফেসবুক পোস্ট করে জানান, ইস্তফা দিচ্ছেন না তিনি।কেন তার এই সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে।