হঠাৎই শান্তিনিকেতনে ভেঙে ফেলা হচ্ছে প্রখ্যাত শিল্পী অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাড়ি। যা নিয়ে ক্ষোভ, আক্ষেপ সকলের ৷ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাইপো অবনীন্দ্রনাথ বিশ্বভারতীর দ্বিতীয় আচার্য ছিলেন ৷ তাঁর ছেলে অলকেন্দ্রনাথ ঠাকুর শান্তিনিকেতনে একটি বাড়ি করেছিলেন৷ সেই বাড়িতে বেশ কিছুদিন ছিলেন অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তাঁর নামানুসারেই শান্তিনিকেতনের ওই জায়গার নাম হয় ‘অবনপল্লী’। সেই ঐতিহ্যবাহী স্মৃতিবিজড়িত ‘আবাস’ নামক বাড়িটি ভেঙে ফেলা হচ্ছে। জানা গিয়েছে সেখানে নাকি বহুতল নির্মাণ হবে৷ প্রশ্ন উঠেছে এভাবেই কি কবির স্বাদের শান্তিনিকেতন ঠিকাদারদের দখলে চলে যাবে?
উল্লেখ্য, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাইপো অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর। প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে বিশ্বভারতীর প্রথম আচার্য ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ১৯৪১ সালে কবির মহাপ্রয়াণের পর ১৯৪২ সালে বিশ্বভারতীর দ্বিতীয় আচার্য হয়েছিলেন অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তখনও বিশ্বভারতী কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় হয়নি৷ তবে শান্তিনিকেতনের মানুষজনের কাছে তিনি ‘অবন ঠাকুর’ নামেই পরিচিত বেশি। এই রকম একজন মানুষের বাড়িও বাদ গেল না৷ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী, গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে স্মৃতি৷ যা নিয়ে রীতিমতো আক্ষেপ, ক্ষোভ শান্তিনিকেতনের অধ্যাপক, আশ্রমিক সকলেরই৷
আর সেই খবর সকালের কানে পৌঁছাতেই নিন্দার ঝড় ওঠে শহর বোলপুর সহ শান্তিনিকেতন এলাকায়। তারপরেই বৃহস্পতিবার দুপুরে বোলপুর পৌরসভার তরফে রুখে দেওয়া হলো অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাড়ি ভাঙ্গার কাজ। জেলা শাসকের নির্দেশ মতো বোলপুর পৌরসভার কাছে সমস্ত নথিপত্র নিয়ে হাজির হতে নির্দেশ দেয় ওই জায়গাটি কেনার মালিককে সেখানে সঠিকভাবে নথিপত্র না দেখাতে পারায় পৌরসভার পক্ষ থেকে পৌরসভার বেশ কিছু কাউন্সিলর সহ পৌরমাতা সংশ্লিষ্টস্থানে গিয়ে ঐতিহ্যবাহী অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাড়ি ভাঙ্গার কাজ রুখে দেওয়া হয়। এমনকি পৌরসভার পক্ষ থেকে তাদের নির্দেশ দেওয়া হয় ঐতিহ্যবাহী জিনিস পত্র গুড়িয়ে দিয়ে কোন কাজ নয়। এমনকি ওই বাড়ি ভাঙ্গার জন্য যথাপযুক্ত ব্যবস্থা গ্ৰহণ করতে চলেছে বোলপুর পৌরসভা।