জেলার বৈদ্যবাটির ঘটনা ,শ্রীরামপুরের চাঁপসরা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক শর্মিষ্ঠা গোস্বামী । বৈদ্যবাটি একটি বেসরকারি ব্যাংকে তার স্যালারি একাউন্ট আছে। চিকিৎসকের অভিযোগ গত ২৮ শে ফেব্রুয়ারি তার একাউন্টে বেতন ঢোকে। ৪ঠা মার্চ তিনি জানতে পারেন তার একাউন্টে কোন টাকা নেই। আজ ব্যাংকের ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি ব্যাংকের মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েন।
তাকে চাঁপসরা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকের অভিযোগ বেশ কিছুদিন ধরে তার অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নেওয়া হচ্ছে। কে তুলছে কিভাবে তুলছে সেটা জানা যাচ্ছে না। চলতি মাসের তার বেতন ঢুকেছিল এই টাকা তুলতে গিয়ে দেখেন অ্যাকাউন্ট ফাঁকা। তার একাউন্টে আরো বেশ কিছু টাকা ছিল। তিনি জানান প্রায় ৮০ হাজার টাকা এই কয়েকদিনের মধ্যে খোয়া গেছে তার।
চিকিৎসক আরো জানান এবার মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে তার মেয়ে। ১১ ক্লাসে ভর্তির জন্য প্রায় তিন লাখ টাকা রেখেছিলেন একটি একাউন্টে। সে টাকাও খোয়া যায়। কেষ্টপুরে তার মা এবং মেয়ে থাকেন। তাদের টাকা পাঠাতে হয় কিন্তু তার হাতে এই মুহূর্তে আর কোন টাকাই নেই। বৈদ্যবাটি ফ্ল্যাট এর জন্য মাসে দশ হাজার টাকায় ইএমআই দিতে হয়। এলআইসি ও মেডিক্লেম এর জন্য মাসে মাসে টাকা লাগে সেই টাকা কোথা থেকে যোগান দেবেন বুঝে উঠতে পারছেন না তিনি। এর আগে তার অ্যাকাউন্ট থেকে যখন টাকা গায়েব হয়েছিল তখন ব্যাংক তাকে জানিয়েছিল একাউন্ট পরিবর্তন করতে। সেই মতন বৈদ্যবাটি ব্যাংক এ নতুন একাউন্ট করেন। ডেবিট কার্ড ও নতুন চেক বই তাকে দেওয়া হয় ব্যাংক থেকে। চিকিৎসকের দাবি তিনি কোন ইউপিআই ট্রানজাকশন করেননি। তা সত্ত্বেও তার অ্যাকউন্ট থেকে টাকা গায়েব হয়ে যাচ্ছে কি করে। সাইবার বিশেষজ্ঞদের মতে অনেক সময় অনলাইন ট্রানজাকশন করলে সেখান থেকে টাকা খোয়া যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এক্ষেত্রে কি ঘটেছে বা ওই অ্যাকাউন্টের নিয়ন্ত্রণ অন্য কারো হাতে আছে কিনা সেটা জানার প্রয়োজন।
সাইবার অপরাধী ধরতে ন্যাশনাল সাইবার হেলপলাইন নম্বর ১৯৩০ তে ফোন করার পাশাপাশি এনসিআরপি তে অভিযোগ জানিয়েছেন ওই চিকিৎসক।